ইন্টারনেটে নিজের রগরগে যৌন দৃশ্যের ভিডিও ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে পাকিস্তানের অভিনেত্রী, নায়িকা মিরা ওরফে ইরতাজ রুবি ও ক্যাপ্টেন নাভিদের বিরুদ্ধে মামলা করতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফআইএ)-কে নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানি আদালত। সামাজিক মিডিয়ায় ওই ভিডিও পোস্ট করার পর তা নিয়ে পাকিস্তানে তোলপাড় চলছে। অসংখ্য মিডিয়া, অনলাইনে এখন এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ আছে, ক্যাপ্টেন নাভিদের সঙ্গে মিরা ওই নগ্ন দৃশ্য ধারণ করেছেন ঢাকার ওয়েস্টিন হোটেলে। তাতে দেখা যায়, ভিডিও ক্যামেরা অন করে দিয়ে ক্যাপ্টেন নাভিদ বলছেন রেকর্ড হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে মিরা ‘আই লাভ ইউ’ বলেই তাকে চুমু খেতে থাকেন। এরপরই তারা একজন আরেকজনকে ‘সিক’ বা নোংরা মনের বলে অভিহিত করতে থাকেন। আশপাশে লোকজন চলাফেরা করা দেখা গেলেও তারা ওই ভিডিও ধারণ করার সময় বার বার একে অন্যকে চুমু খেতে থাকেন। বলেন, আমরা এখন ঢাকায়। তবে এই ভিডিওতে তাদেরকে নগ্ন হতে দেখা যায় নি। অন্য ভিডিওগুলোতে তাদেরকে দেখা গেছে রগরগে দৃশ্যে। বিবস্ত্র অবস্থায়। এ নিয়ে পাকিস্তানে বিতর্কের শেষ নেই। কেউ এটাকে বলছেন ‘মিরা বিতর্ক’। কেউ বলছেন ‘মিরা স্ক্যান্ডাল’। কেউ বলছেন ‘মিরাস সেক্স ভিডিওস’। কেউ বলছেন ‘মিরাস ফ্রেশ স্ক্যান্ডাল’। কেউ বলছেন ‘মিরার সর্বশেষ সেক্স ভিডিও’। মিরা পাকিস্তানে বেশ সুপরিচিত অভিনেত্রী। অভিনয় করেছেন অনেকগুলো ছবিতে। কিন্তু তার যৌন দৃশ্যের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে বেশ কিছুদিন আগে। তবে কেউ কেউ বলেন, এর মাধ্যমে মিরা আরও বেশি দৃষ্টি কাড়ার চেষ্টা করেছেন। ২০১২ সালে মিরার সঙ্গে এনগেজমেন্ট হয় ক্যাপ্টেন নাভিদের। কিন্তু পরে বেশ কিছু সময় তাদের বিয়ে নিয়ে আর কোন কথা শোনা যায় নি। কিন্তু যখন তাদের রগরগে ভিডিও প্রকাশ হয়ে পড়ে তখন নাভিদের পিতা তাদের বিয়ের নিবন্ধন দেখিয়ে বলেন, ২০১৩ সালের অক্টোবরে ক্যাপ্টেন পারভেজের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে মিরার। কিন্তু মিরা তা অস্বীকার করেন। তবে ওই ভিডিওকে মিরা ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন। তার অভিযোগ, কম্পিউটারের কারসাজির মাধ্যমে এ ভিডিও বানানো হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়টি যখন আদালতের নজরে দেয়া হয় তখন আদালত বার বার মিরা ও ক্যাপ্টেন নাভিদকে সশরীরে হাজির হওয়ার সমন পাঠায়। কিন্তু তাদের দু’জনের কেউই আদালতে হাজির হন নি। সোমবার এ মামলার শুনানি হয়। সেখানে পুলিশ বলে, এখন মিরা ও নাভিদের বিরুদ্ধে মামলা করার দায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার।
