সরকার ‘হীরক রাজার’ মতো দেশ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, বিরোধী দল দমনে সরকার মিথ্যা মামলা দায়েরের নতুন কৌশল নিয়েছে। উদ্দেশ্য একটাই- দেশে কোনো বিরোধী দল থাকবেন না, ভিন্নমত ও ভিন্নচিন্তা কোনো কিছুই থাকবে না। এ যেন হীরক রাজার মতো সরকার দেশ চালাচ্ছে। হীরক রাজার রাজত্ব চলছে। এর অবস্থার উত্তরণে নেতাকর্মীদের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
গতকাল জাতীয় প্রেস কাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি হাবিব উন নবী খানের মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশে ফখরুল এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকারকে বলব, গণতন্ত্রের পথে আসুন। গণতন্ত্রের শত ফুলকে ফুটতে দিন। পরমত সহিষ্ণু হউন। দমন নির্যাতনের পথ থেকে সরে আসুন।
দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্পর্কে সরকারের মন্ত্রী-নেতাদের বক্তব্যের সমালোচনা করে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, তারেক সাহেব ইতিহাস থেকে সত্য তুলে ধরেছেন। তার বক্তব্যের পর সরকারের মন্ত্রীদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হয়েছে, তাদের গায়ে জ্বালা লেগেছে। আন্দোলন জোরদার করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে বলে জানান তিনি।
ভারতের টাইম অব ইন্ডিয়ার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ওই পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে একজন আইএসআইর এক এজেন্টকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা গ্রেফতার করে ভারতে নিয়ে গেছে। সংবাদটি যদি সঠিক হয়, তাহলে কিভাবে একটি বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা অন্য একটি দেশে এসে কিভাবে আরেকটি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ওই আইএসআইর এজেন্টও কিভাবে এ দেশে এলো। আমরা এই সংবাদের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ব্যাখ্যা দাবি করছি।
তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি না হওয়ায় উত্তরাঞ্চলে তিন কোটি মানুষের জীবন-জীবিকার ওপর ভয়াবহ বিপর্যয়কর অবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই সরকার তিস্তার পানির হিস্যা আদায়ে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা দীর্ঘ দিন ধরে তিস্তার পানি চুক্তি হবে বলে জনগণকে মুলা ঝুলিয়ে রেখেছে। বাস্তবতা হচ্ছে সরকার ভারতের সাথে এ বিষয়ে কোনো চুক্তি করতে পারেনি।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুনির হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু, দক্ষিণের আহ্বায়ক আলী রেজাউর রহমান রিপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।