চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৪ কোটি টাকার সোনা আটক

0
153
Print Friendly, PDF & Email

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৃথক ঘটনায় চার কোটি টাকার বেশি দামের ৮৪টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল ও সন্ধ্যায় এসব সোনা আটক করা হয়।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, আজ বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ থেকে ২৪টি সোনার বার জব্দ করা হয়। সোনার বারগুলোর ওজন দুই কেজি ৮০০ গ্রাম। দাম প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা। যাঁর কাছ থেকে এই সোনা আটক করা হয়, তাঁকে আটক করার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি পালিয়ে যান।
বিমানবন্দর সূত্রে আরও জানা যায়, সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে আজ বেলা সাড়ে তিনটায়। যাত্রীদের নামিয়ে উড়োজাহাজটির ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা ছিল। যাত্রাবিরতিতে নিয়মিত তল্লাশির সময় মোহাম্মদ ইসমাইল নামের এক যাত্রীর সিটের কাছ থেকে ২৪টি সোনার বার জব্দ করা হয়। ইসমাইলের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে। তাঁর ঢাকায় নামার কথা ছিল।
ইসমাইলকে আটক করে শুল্ক কর্মকর্তাদের কক্ষে রাখা হয়। এ সময় পুলিশ ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীদের কাছে হস্তান্তরের আগে কৌশলে পালিয়ে যান তিনি।
ইসমাইল কীভাবে পালিয়ে গেলেন, জানতে চাইলে বিমানবন্দরে নিয়োজিত কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. মশিয়ার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগের কক্ষ থেকে তিনি পালিয়ে যান। এ সময় আমরা নিয়মিত তল্লাশিতে ব্যস্ত ছিলাম। এ সুযোগ নিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর পাসপোর্ট, ব্যাগ ও সোনার বার আটক আছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’

এদিকে পৃথক এক ঘটনায় কাপড় ইস্ত্রি করার যন্ত্রের মধ্যে পাওয়া গেছে প্রায় তিন কোটি টাকার ৬০টি সোনার বার। দুবাই থেকে আসা এক যাত্রীর ব্যাগে থাকা চারটি কাপড় ইস্ত্রির যন্ত্র থেকে এসব সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, দুবাই থেকে ফ্লাই দুবাই এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণ করে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। এ সময় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তথ্যের ভিত্তিতে মো. সোহেল নামের এক যাত্রীর ব্যাগে থাকা চারটি ইস্ত্রি মেশিনের ভেতরে স্বর্ণ পাওয়া যায়।
বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার নূর ই আলম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুপুরে গোপন সংবাদে আমার কাছে খবর আসে সোহেল নামের একজন যাত্রীর একটি লাগেজে সোনা আছে। বিষয়টি শুল্ক কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে রাখি। ওই যাত্রী একটি ব্যাগ নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তার আর কোনো লাগেজ আছে কি না, জিজ্ঞেস করলে কোনো লাগেজ নেই বলে সে জানায়। এরপর তাকে আলাদা করে রাখা হয়।’ তিনি বলেন, যাত্রীরা চলে যাওয়ার পর দুটি লাগেজ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই দুটি লাগেজই তার বুকিং করা ছিল, নিশ্চিত হওয়ার পর স্ক্যানিং করে চারটি ইস্ত্রি মেশিন দেখা যায়। এই চারটি যন্ত্রের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ছিল। এরপর এই চারটি যন্ত্র খুলে প্রতিটির ভেতরে একটি লোহার বাক্স পাওয়া যায়। লেদ মেশিন দিয়ে চারটি বাক্স খুলে ৬০টি সোনার বার পাওয়া যায়।
শুল্ক কর্মকর্তারা জানান, আটক যাত্রী সোহেলের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণ পরীক্ষা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

শেয়ার করুন