ঢং ঢং ঘণ্টা বাজিয়ে জল উৎসবের শুভ সূচনা। ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে রাঙামাটির মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা একে অপরের গায়ে পানি ছিটানো শুরু করেন। পুরাতন বছরের সব দুঃখ, গ্লানি ধুয়ে মুছে দেওয়ার জন্যই এ উৎসব। আর এই উৎসবটির নাম জলকেলী।
মারমা সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী জলকেলী উৎসবের মাধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ১৪টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বৈসাবী উৎসব।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় বৈসাবী উৎসবের শেষ দিনে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই পানি খেলা ফিতা কেটে ও পানি ছিটিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন পার্বত্য বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে উশৈসিং বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে রক্তের হলি খেলা বন্ধ করে মৈত্রীর বন্ধনে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে পাহাড়ের সবাইকে শান্তি আনায়নে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পার্বত্য এলাকায় সন্ত্রাস ও রক্তপাত বন্ধ করা না গেলে পাহাড়ের উন্নয়ন শান্তি বিঘ্নিত হবে।
মারমা সম্প্রদায়ের জলোৎসবটিকে ঘিরে আয়োজন করা হয় নানা সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। মারমা তরুণ-তরুণীরা বাহারি রঙের আকর্ষণীয় পোশাক পরে নাচ-গানের আসর মেতে উঠে। ঢাক-ঢোল আর কাঁসার তালে তালে নেচে উৎসবটি পালন করেন মারমা সমপ্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামাল, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা প্রমুখ।
তিন পার্বত্য জেলার মারমা সম্প্রদায়ের সব নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন এই উৎসবে। মারমা সমপ্রদায়ের সর্ববৃহৎ এ জলোৎসব দেখতে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা ভিড় জমে দেশি-বিদেশি হাজারো পর্যটক। শুধু পর্যটক নয়, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বারতাকে সামনে রেখে জলকেলী উৎসবে বসেছিল পাহাড়ি বাঙালির মিলিন মেলা