শিশির আহমেদ নামের গণজাগরণ মঞ্চের কামাল পাশার নেতৃত্বাধীন একাংশের এক কর্মী চাপাতির কোপে আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে কাঁঠালবাগানের ঢালের পাশে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের সামনে শিশিরের ওপর ১০-১২ জন হামলা চালায়। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে।
ইমরান এইচ সরকারের পক্ষের কর্মীরা শিশিরের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে কামাল পাশা অভিযোগ করেছেন। তবে ইমরান এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মঞ্চের একাংশের প্রতিনিধি কামাল পাশা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘তাঁদের কর্মী শিশিরকে ফোনে ও অনলাইন মাধ্যমে বিভিন্ন সময় হুমকি দেওয়া হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ইমরান এইচ সরকারের পক্ষের লোকজন তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে।’
এই অংশের আরেক নেতা এফ এম শাহীন প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা আড়াইটার দিকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনের সামনে শিশিরের ওপর ১০-১২ জন হামলা চালায়। হামলায় চাপাতির কোপে শিশিরের দুটি আঙুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। হামলাকারীদের মধ্যে ইমরান এইচ সরকারের পক্ষের কর্মী নভেন্দু সাহা জয়কে শিশির চিনতে পেরেছেন বলে দাবি করেন শাহীন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শাহীন জানান, তাঁরা মামলা করবেন। তবে তখন পর্যন্ত এ ঘটনায় তাঁরা কোনো মামলা করেননি।
তবে ফোনে যোগাযোগ করা হলে নভেন্দু সাহা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, তিনি নারায়ণগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে। হিন্দু ধর্মাবলম্বী হিসেবে পঞ্জিকা অনুযায়ী তাঁরা আজ পয়লা বৈশাখ উদযাপন করছেন।
এ বিষয়ে ইমরান এইচ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন অহিংস। এ ধরনের ঘটনার কোনো সুযোগ নেই। গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচির সঙ্গে এই ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এখানে গণজাগরণ মঞ্চকে জড়ানো অনাকাঙ্ক্ষিত। হামলাকারী হিসেবে যে নভেন্দু সাহার কথা বলা হচ্ছে, তিনি ঢাকাতেই নেই।
৩ এপ্রিল গণজাগরণ মঞ্চের বিবদমান এই দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। সে সময় নভেন্দু সাহাসহ ছয়জন আহত হয়েছিলেন। পরে ইমরানবিরোধীদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে ইমরানকে মুখপাত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণা দেন এই অংশের প্রতিনিধি কামাল পাশা চৌধুরী।
