গোপালগঞ্জে পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অভিযোগ দিতে গিয়ে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ছাত্রলীগের দুই কর্মী। তাঁরা হলেন শাহনেওয়াজ খান (২৩) ও সাইমন হোসাইন (২০)। আহত দুজনকেই গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের কনস্টেবল ফারুক হোসেনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
আহত ছাত্রলীগের কর্মী শাহনেওয়াজের অভিযোগ, আজ সোমবার দুপুরে শহরের লঞ্চঘাট এলাকায় সাদা পোশাকে থাকা ফারুকসহ তিন পুলিশ কনস্টেবল নারীদের উত্ত্যক্ত করছিলেন। তিনি ও সাইমন এ ঘটনার প্রতিবাদ জানান। এ সময় উত্ত্যক্তকারীরা নিজেদের পুলিশের লোক বলে পরিচয় দেন।
শাহনেওয়াজ জানান, পুলিশ কনস্টেবলদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিতে আজ বেলা তিনটার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যান তিনি ও সাইমন। সেখানে থাকা পুলিশ কনস্টেবল ফারুক ও পুলিশের উপপরিদর্শক (এএসআই) আসাদ তাঁদের মারধর করেন এবং অভিযোগপত্রটি ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় পুলিশ সুপার অফিসে ছিলেন না। পরে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমানের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি হন তাঁরা।
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আ. হামিদ বলেন, ‘নারীদের উত্ত্যক্ত করার বিষয়টি ছাত্রলীগের ওই দুই কর্মীর কাছ থেকে জেনে আমি পুলিশ সুপারকে মুঠোফোনে জানিয়েছিলাম। তিনি একটি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছিলেন। এ কারণে আমি ওই দুই কর্মীকে অভিযোগপত্র দিয়ে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা দিতে গেলে পুলিশ তাঁদের মারধর করে।’
জেলা বিশেষ শাখার ওসি আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, এ ঘটনার পর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ফারুককে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে।
