বরিশালে মরা নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ

0
281
Print Friendly, PDF & Email

দক্ষিণাঞ্চলের নদীমাতৃক জেলা বরিশাল। এ জেলার মুলাদী, বাবুগঞ্জ, গৌরনদী ও বাকেরগঞ্জে উপজেলার একাধিক মরা নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন অনেক মৎস্য চাষী। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় মরা নদীতে খাঁচায় মাছ চাষী ও হ্যাচারী ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, জেলার উজিরপুর উপজেলার ধামুরা, হারতা, জল্লা, গৌরনদী উপজেলার আগুরপুর, সরিকল, বাবুগঞ্জ উপজেলার শিকারপুর, রহমতপুর, বাকেরগঞ্জের নলুয়া, কলসকাঠি, মুলাদীর কাজিরচর, কমিশনারচরসহ বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতি বছর চাষ করা হচ্ছে বিপুল পরিমাণের মাছ। চাষকৃত মাছের মধ্যে রয়েছে, রুই, কাতল, সিলভারকাফ তেলাপিয়া, পাঙ্গাস।
জানা যায়, বৈশাখ থেকে আষাঢ় পর্যন্ত মাছের পোনা চাষ করা হয়। ৭ থেকে ৯ মাসের মধ্যে তেলাপিয়া মাছ ১ কেজি থেকে ১ কেজি ২৫০ গ্রাম ওজনের হয়ে থাকে। প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১৮০ টাকায়। প্রতিদিন গড়ে ৫ মণ মাছ বিক্রি করা যায়। এ মাছ বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। মাছ চাষ করার জন্য ৬ থেকে ৮ ফুট পানির গভীরতাসহ জোয়ার ভাটার পানির প্রয়োজন। প্রতিটি হাপা পাশে ১০ ফিট ও লম্বা ২০ ফিট। মাছের খাবার বাহির থেকে সরবরাহ করতে হয়।
মরা নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ করে আলোড়ন সৃষ্টিকারী মৎস্য চাষী স্বর্ণ পদকপ্রাপ্ত বাবুল খান জানান, ২০১২ সালে প্রথম মাত্র পাঁচটি হাপা নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫টি। মুলাদী উপজেলা ছাড়াও বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলার মৎস্য চাষীরা এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে খাচায় মৎস্য চাষ শুরু করেছে। এতে বেশ কিছু বেকার যুবক উপকৃতও হয়েছে।
মুলাদী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বায়েজিত আলম জানান, উপজেলায় তিনটি বড় নদী আড়িয়াল খা, জয়েন্তী ও নয়া ভাঙ্গলী রয়েছে। এ তিনটি নদীর অনেক বাঁক ও প্রশাখা রয়েছে। অনায়াসে সেখানে খাঁচায় মৎস্য চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। জেলার অধিকাংশ নদী, খালগুলোতে শুষ্ক মৌসুমে নৌ চলাচল করতে পারে না। কিন্তু জোয়ার ভাটার পানি ওঠা-নামা করে। এসব জলাশয়ে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করলে প্রায় ৪২০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হতে পারে। বর্তমানে ১৫০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক চীফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ বলেন, বর্তমান সরকার বেকার সমস্যা, দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ুদ্র, মাইক্রো (ুদ্রের চেয়ে আরো ুদ্র) ও কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে ঋণ ও আনুষঙ্গিক সহায়তা দেবে। যে কাউকে খাঁচায় মাছ চাষসহ বেকার সমস্যা ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে সর্বাত্মক সহযোগীতা করা হবে।

শেয়ার করুন