বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, ‘৭১ সালে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম একটি শোষণহীন, বৈষম্যমুক্ত সমাজ এবং জনগণের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু বর্তমান সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জনগণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে উপহাস করছে। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রতিবাদে এবং ছাত্রদল সভাপতি আবদুল কাদের ভুইয়া জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশীদ হাবিবসহ সব নেতার মুক্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের সভাপতিত্বে আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুুদু, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ। ব্যারিস্টার রফিক মিয়া বলেন, দেশে এখন সর্বত্র গুম, খুন ও নির্যাতনের রাজত্ব চলছে। এসব করে ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের প্রতি চরম উপহাস করা হচ্ছে। সরকার পুলিশ বাহিনীকে আওয়ামী লীগের ক্যাডার হিসেবে ব্যবহার করছে। আইনের শাসনের পরিপন্থী কাজ করছে। আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, ২৯ ডিসেম্বর দলের নেতা-কর্মীরা যদি সামান্য একটু সাহসের পরিচয় দিতেন, তাহলে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হতো না। আর এ অবৈধ সরকারও ক্ষমতায় আসতে পারত না। কিন্তু সেদিন আমাদের ব্যর্থতার কারণেই আজকে এর মাশুল দিতে হচ্ছে।