পার্লামেন্ট অধিবেশনে ফের বাদানুবাদ, হাতাহাতি অবশেষে মারামারিতে জড়ালেন ইউক্রেনের সংসদ সদস্যরা। পূর্ব ইউক্রেনের তিনটি শহর দোনেৎস্ক, লুহানস্ক এবং খারকিভে রোববার রাতে রুশপন্থীরা আলাদা রাষ্ট্র ঘোষণা করার পর পার্লামেন্টে দ্বিতীয়বারের মতো এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটলো।
জানা যায়, মঙ্গলবার পার্লামেন্টে অধিবেশন চলাকালে দেশটির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোভিচের সমর্থক কমিউনিস্টদের রিজিয়ন্স পার্টি নেতা পেত্রো সিমোনেঙ্কো বলেন, ইউক্রেন সমস্যার গোড়ার দিকে জাতীয়তাবাদী নেতারা চরমপন্থী অবস্থান নিয়ে রাশিয়ার ফাঁদে পা দিয়েছেন তখন দক্ষিণপন্থী জাতীয়তাবাদী দল স্বোভোদার দুজন এমপি তাকে ঘিরে ধরেন। এরপর কমিউনিস্ট নেতারাও সেদিকে এগিয়ে গেলে প্রথমে শুরু হয় বাদানুবাদ। অবশেষে যা মারামারিতে রূপ নেয়। সিমোনেঙ্কো অবশ্য অক্ষতই থেকে যান।
এর আগে ইউক্রেনের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ওলেকসান্দার তুর্কিনভ অধিবেশনে দাবি করেন, রাশিয়ার গোয়েন্দা বিভাগ পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ইউক্রেনকে খণ্ড-বিখণ্ড করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী আর্সেনি ইয়াৎসেনিউক বলেন, ‘ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছেই। পরিকল্পনা করে বিদেশি সৈন্যবাহিনী আবার সীমান্ত অতিক্রম করে আমাদের ভূখণ্ডের আরো একটি অংশ অধিকার করার চেষ্টা করবে। আমরা এটা কিছুতেই হতে দেব না।’
ইউক্রেনের উদারপন্থি পার্টির নেতা এবং প্রাক্তন মুষ্টিযোদ্ধা ভিতালি ক্লিতস্কো বলেন,‘যারা বিচ্ছিন্নতাবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং অন্য দেশের টাকায় গুণ্ডামি করে বেড়াচ্ছে, সরকারের উচিত তাদের কঠোর হাতে দমন করা।’
এদিকে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী খারকিভে আঞ্চলিক সরকারের সদর দপ্তর অবরোধ করে থাকা বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দিয়েছে। এসময় কমপক্ষে ৭০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া হ্যান্ড গ্রেনেডে কয়েক জন নিরাপত্তাকর্মী আহতও হয়েছে।