পাবনার ঈশ্বরদীতে রাষ্ট্রপতি পদকপ্রাপ্ত আমিরুল ইসলামের তন্ময় ডেইরি ফার্ম পরিদর্শনে গিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মোজেনা বলেছেন, ‘আমার বাবাও একজন কৃষক ছিলেন। এখনো দেশে আমার একটি গো খামার রয়েছে। সেখানে রয়েছে ৩৬টি গরু। আমি নিজ হাতে গরুর দুধ দোয়ানোর কাজ করেছি। এটা আমার কাছে খুবই উপভোগ্য বিষয়’।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৮টায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পাবনা সার্কিট হাউজ থেকে কঠোর নিরাপত্তায় ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী পদ্মানদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজের উপর ওঠেন এবং রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখেন।
এরপর সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের পাকুড়িয়াস্থ আমিরুল ইসলামের তন্ময় ডেইরি খামার পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি খামারী আমিরুলের সঙ্গে খামারের সমস্যা, সম্ভাবনা, রোগ বালাই এবং চিকিৎসা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।
এরপর বেলা ১১টায় তিনি সাহাপুর হরিণ বাড়ি সংলগ্ন রাষ্ট্রপতি পদকপ্রাপ্ত কৃষকদের আয়োজিত কৃষি মেলার উদ্বোধন করেন। মেলায় এই অঞ্চলের প্রায় অর্ধশত কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য, মাছ, গরু, ছাগল, ভেড়া প্রদর্শন করেন। মেলাটি বেশ কিছু সময় ধরে ঘুরে দেখেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
এরপর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাষ্ট্রদূত ঈশ্বরদী উপজেলা গেট সংলগ্ন কৃষি হিমাগারটি পরিদর্শন করেন। শেষে দুপুর ১টার দিকে বগুড়ার উদ্দেশ্যে ঈশ্বরদী ত্যাগ করেন।
পরিদর্শন শেষে ঈশ্বরদী ত্যাগ করার সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মোজেনা উপস্থিত সাংবাদিকদের নিকট নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ছয় বছর ধরে বাংলাদেশে আছি। এদেশের মানুষ খুবই ভালো। আর ঈশ্বরদীর কৃষকরা উন্নয়নের রূপকার। প্রত্যেকের কাজই আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি খুবই খুশি এবং আনন্দিত’।
এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন, ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ সানোয়ার হোসেন, ঈশ্বরদীর এএসপি সার্কেল শাহ নূর আলম পাটোয়ারী, ওসি বিমান কুমার দাশ প্রমুখ।