তিস্তা, সীমান্তে হত্যা, করিডোর ইত্যাদি বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্কের একটি সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছেন সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনি। নিচে তা হুবহু তুলে ধরা হলো:
১. আমরা যে ত্রিপুরার জনগণকে নদীর উপর বাঁধ (পৃথিবীর ইতিহাসে নজীরবিহীন) দিয়ে, ১০/১৫ টি খালের উপর বাঁধ দিয়ে পণ্য পরিবহনের সুযোগ করে দিলাম, সেই ত্রিপুরার জনগণ আমাদের তিন জনকে পিটিয়ে হত্যা করলো!
২. আমাদের সরকার -আওয়ামীলীগ -বিএনপি -নাগরিক সমাজ …সবাই নিশ্চুপ।
৩. আমরা ভারতকে বিদ্যুৎ করিডোর দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। এর থেকে বাংলাদেশ কি পাবে, কি লাভ হবে -এসব নাকি পরে আলোচনা হবে!
হাসব না কাঁদব!!
৪. তিস্তা অঞ্চল শুকিয়ে চৌচির। পানির জন্য হাহাকার চলছে। আমাদের সরকারের মন্ত্রী বলছেন, ভারতের নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।
৫. লক্ষ্য করুন, বিদ্যুৎ করিডোর দেয়ার আলোচনার সময় কিন্তু ভারতের নির্বাচনের প্রসঙ্গ আসছে না।
৬. আমাদের সরকার -মন্ত্রী -উপদেষ্টারা বলতে পারছেন না যে, তিস্তা এবং বিদ্যুৎ করিডোরের চুক্তি -একই সময়, একই টেবিলে হতে হবে। একটি না হলে আর একটি হবে না।
৭. মন্ত্রী হওয়ার জন্য যাদের কাছে তদবির করব, ভোটারবিহীন নির্বাচনের পরও যারা আমাদের ক্ষমতায় রাখবে -কি করে তাদের কাছে এসব দাবি তুলে ধরবো!
৮. সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া, পিটিয়ে হত্যা, গুলি করে হত্যা – ভারত সবই করতে পারবে।
তিস্তার পানি আটকে রাখতে পারবে, আরো কয়েক ‘শো বাঁধ দিতে পারবে। টিপাইমুখ মূখ বাঁধ দেবে ভারত, আমাদের মন্ত্রী-উপদেষ্টারা কোরাস গাইবে ‘বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু ভারত করবে
না ‘।
৯. আমাদের আছে অফুরন্ত। দেব আর দেব। নেব না কিছু, চাইব না কিছু। আমরা তো অশিক্ষিত নই, আমরা বর্বর নই, আমরা অসভ্য নই!
কিছু চাইলেই অশিক্ষিত -বর্বর -অসভ্য হয়ে যাব!!
সরকার -আওয়ামীলীগ কিছু চাইছে না। বিএনপিও একদম চুপ।
সবাই খুব সাবধান, চাওয়া যাবে না কিছু!!