গত ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবং পরে মোট ৫ মাসে ছাত্রদলের ৩১২ জন নেতা-কর্মী খুন ও গুম হয়েছে বলে বিএনপি দাবি করেছে। এর মধ্যে ২৪৭ জন খুন এবং ৬৫ জন গুম হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এর আগে বিএনপি অনুরূপ একটি তালিকা করে যে, ঐ একই সময়ে তাদের ও জামায়াতের ২৬১ জন খুন ও ৬০ জন গুম হয়েছেন।
গত শনিবার রাতে চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছাত্রদলের সাবেক নেতা শহীদুল ইসলাম বাবুলের নেতৃত্বে গঠিত ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি বেগম খালেদা জিয়ার কাছে দেয়া এক প্রতিবেদনে নিহত ও গুম হওয়া ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের নামের পাশাপাশি তাদের আলোকচিত্র, পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা, পারিবারিক পরিচিতি তুলে ধরে। শহীদুল ইসলাম বাবুল ইত্তেফাককে জানান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের নির্দেশে দেশব্যাপী নির্বাচনপূর্ব ও নির্বাচনোত্তর সময়ে সংঘটিত খুন, গুম, হামলা-মামলা ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের মতো ঘটনাবলী তদন্ত করে প্রতিবেদনটি প্রণয়ন করেন তারা।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ঢাকায় গত ৫ মাসে সবচেয়ে বেশি গুমের শিকার হয়েছেন নেতা-কর্মীরা। রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় ছাত্রদলের ২৫ জন নেতা-কর্মী গুম হয়েছেন। যাদের কোন হদিস আজো মেলেনি। এরমধ্যে বংশাল থানা এলাকায় গুম হন ৫ জন। যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় ৩ জন, তেজগাঁও এলাকায় ৩ জন, বিমান বন্দর থানা এলাকায় ৩ জন, সবুজবাগ থানা এলাকায় ২, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ২ জন। প্রতিবেদনে ছাত্রদলের সাবেক নেতারা বলেন, যেসব নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন তাদের বেশিরভাগ আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশ অথবা প্রতিপক্ষের গুলিতে মারা গেছেন। কাউকে কাউকে আইন-শৃংখলা বাহিনীর নামে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে লাশ পাওয়া গেছে। শহীদুল ইসলাম বাবুল জানান, বেগম খালেদা জিয়া শিগগিরই সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই তালিকা এবং প্রতিবেদন জাতির সামনে তুলে ধরবেন।