জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে ইসি

0
188
Print Friendly, PDF & Email

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। উচ্চ আদালত দলটির নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করলেও প্রতিষ্ঠানটির ওয়েব সাইটে দুই ধরনের তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে।

নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের তালিকায় জামায়াতের নাম আছে। তার নিচে মন্তব্যের ঘরে লেখা আছে- মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক রিট পিটিশন নং ৬৩০/২০০৯ এর ওপর ০১ আগস্ট ২০১৩ তারিখে প্রদত্ত রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-এর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হয়েছে।

অন্যদিকে ইংরেজি সংস্করণে দেখা গেছে, দলের প্রোফাইলের নিচে হাইকোর্টের রায়ের ব্যাপারে কিছু লেখা নেই।

এছাড়া ইসির ওয়েব সাইটে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল (ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে রফিকুল ইসলাম খানের নাম উল্লেখ আছে। অথচ তিনি প্রায় তিন মাস আগে ওই পদ থেকে সরে গেছেন। দলটির বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেলের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পালন করছেন ডা: শফিকুর রহমান।

প্রসঙ্গত, গঠনতন্ত্র বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারণে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

গত বছরে ১ আগস্ট বিচারপতি এম মোয়াজ্জম হোসেন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এবং বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের বেঞ্চ ওই রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়া গণপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন না থাকলে রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না বলে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়।

ওয়েব সাইটের তথ্য মতে, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর ১৪ নম্বর রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াত নিবন্ধিত হয়।

ওয়েব সাইটের বাংলা ভার্সনে নিবন্ধিত দলের মধ্যে জামায়াতের বিস্তারিত তথ্যে বলা হয়েছে, ‌মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক পিটিশন নং ৬৩০/২০০৯ এর ওপর ১ আগস্ট ২০১৩ তারিখে প্রদত্ত রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হয়েছে।

তবে ইংরেজি সংস্করণে এটি উল্লেখ নেই। সেখানে নিবন্ধিত দল হিসেবে জামায়াতকে উপস্থাপন করা হয়েছে।

এর আগে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে টাঙ্গাইলের নির্বাচন সংক্রান্ত একটি তথ্য প্রকাশ করতে বিলম্ব হওয়ায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার-১ এর সিনিয়র সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন ও এলএমএসএস দেলওয়ার হোসেনকে শোকজ করেন ভারপ্রাপ্ত সিইসি মোহাম্মদ আবদুল মোবারক।

একই সঙ্গে বিষয়টি আইন শাখার যুগ্মসচিব শাজাহানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি তদন্ত শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমানের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তবে শাস্তির ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ইসি।

শেয়ার করুন