প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কারচুপি করলে জামায়াতে ইসলামীকে জিততে দিত না। সাঈদীর ছেলে জিততে পারত না।
গতকাল শনিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বৈঠকে বাংলা নববর্ষ, মুজিবনগর দিবস, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কর্মসূচি প্রণয়ন এবং দলের সাংগঠনিক বিষয়সহ দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শেখ হাসিনা।
বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে বলেন, আওয়ামী লীগ নাকি উপজেলা নির্বাচনে কারচুপি করেছে। আওয়ামী লীগ কারচুপি করলে সাঈদীর ছেলেসহ এতগুলো উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তারা জেতে কীভাবে?
এর আগে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশের ইতিহাস এক। আওয়ামী লীগ কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা বাস্তবায়ন না করে ঘরে ফেরে না।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, দেশের সংবাদপত্রগুলোর অনলাইন ও ব্লগ স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী শক্তি এবং ছাত্রশিবির দখল করে ফেলেছে। কোনো সংবাদের বিরুদ্ধে তারা পরিকল্পিতভাবে মন্তব্য লিখতে থাকে। দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি সাইবার অপপ্রচার চালাচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে এর বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি ইউরোপসহ পশ্চিমা বিশ্বে মৌলবাদী শক্তির উত্থানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘একসময় আমাদের দেশেও এর ঢেউ আসতে পারে। তাই এখন থেকেই এর বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ ক্ষেত্রে তিনি এখন থেকেই সবাইকে প্রস্তুতি নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা দলীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের উপজেলা নির্বাচনের ফলাফলসহ সার্বিক সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। নির্বাচনে দল-সমর্থিত প্রার্থীদের ফলাফল, সাংগঠনিক অবস্থা, সংশ্লিষ্ট উপজেলায় পরাজয়ের কারণসহ নিজস্ব মূল্যায়ন লিখিত আকারে জমা দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
হিরনের শয্যাপাশে শেখ হাসিনা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বিকেলে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলীয় সাংসদ শওকত হোসেন হিরনকে দেখতে যান। তিনি সেখানে হিরনের স্ত্রী, ছেলেমেয়ে এবং কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে তাঁর চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে শওকত হোসেন হিরন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।