সব কোর্টই মুজিব কোটের পকেটে বন্দী: গয়েশ্বর

0
190
Print Friendly, PDF & Email

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জজ কোর্ট, হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট—সব কোর্টই এখন মুজিব কোটের পকেটে বন্দী। এই পকেট ছিঁড়তে না পারলে কেউ ন্যায় বিচার পাবে না, বিচারকদের বিবেক জাগ্রত হবে না মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, বিচারকেরা একটি নির্দিষ্ট জায়গার ইশারায় রায় লেখেন।

আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমার দেশ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুুর রহমানের মুক্তি ও পত্রিকাটি খুলে দেওয়ার দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপিপন্থী চিকিত্সকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

গয়েশ্বরের দাবি, বিচারকেরা আইনজীবীদের শুনানি শোনেন না। কারণ তাঁরা সে অনুযায়ী রায় লিখতে পারেন না। বরং তাঁরা একটি ইশারার আশায় বসে থাকেন। সে ইশারা এলে সে অনুযায়ী রায় লিখতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘খালেদা জিয়া আন্দোলন করতে পারুন আর না পারুন; বিএনপি আন্দোলন করতে পারুক আর না পারুক; খুব তাড়াতাড়ি আপনার পতন নিশ্চিত।’

ভারতকে বিদ্যুতের করিডর দেওয়ার সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারতকে এই করিডর দিতে গিয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার বিঘা জমি পরিত্যক্ত হবে। আর বিদ্যুত্সচিব বলছেন, লাভ-লোকসানের হিসাব নেই। গয়েশ্বরের আশঙ্কা, কিছুদিন পর হয়তো ভারত বলবে, তাদের বিদ্যুতের টাওয়ারের নিরাপত্তার জন্য লোকবল দরকার। তখন প্রতি ৩০০ ফুট অন্তর ভারতীয় পুলিশ বা সেনা বা বিএসএফ সদস্য আসবে এই নিরাপত্তার নামে।

গয়েশ্বর চন্দ্র দাবি করেন, ১৯৭১ সালে একদিনের জন্য হলেও জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত দেশে কার নেতৃত্বে যুদ্ধ হয়েছে—প্রশ্ন রাখেন তিনি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, তাঁরা উপজেলা নির্বাচন মানেন না। এই নির্বাচনে স্বয়ং নির্বাচন কমিশন ডাকাতি করেছে। তিনি নতুন করে উপজেলা নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান।
অন্যদের মধ্যে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, ড্যাবের মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

শেয়ার করুন