দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে চীনা জাহাজ শনিবার যে ‘পালস সিগন্যাল’ (কম্পন সঙ্কেত) শনাক্ত করেছে, সেটা নিখোঁজ বিমানটির অনুসন্ধান কাজে নতুন আশাবাদ সৃষ্টি করেছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি অ্যাবোট মনে করছেন, মালয়েশিয়ান বিমানটির খোঁজ এর মাধ্যমেই জানা যাবে। আজ রোববার ওই এলাকায় ব্যাপক অভিযান শুরু হলেও এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি।
গত ৮ মার্চ ২৩৯ আরোহী নিয়ে বিমানটি কুয়ালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে বিমানটি নিখোঁজ হয়। আগামীকাল বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার এক মাস পূর্ণ হবে। আবার বিমানের ব্ল্যাক বক্সের ব্যাটারির মেয়াদ থাকে এক মাস। ফলে আগামীকালের মধ্যে অন্তত ব্ল্যাক বক্স পাওয়া না গেলে এই রহস্য সম্ভবত কোনোকালেই সমাধান হবে না।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী আজ রোববার টোকিওতে সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি ‘পালস সিগন্যাল’ (কম্পন সঙ্কেত)-এর ব্যাপারে আশাবাদী, তবে নিশ্চিত নন।
তিনি বলেন, মানব ইতিহাসে এটা সবচেয়ে কঠিন অনুসন্ধান। আমরা যে বিমানটির খোঁজ করছি, সেটি মহাসাগরের একেবারে গভীর তলানিতে রয়েছে। আর অনুসন্ধান এলাকাও বিশাল।
চীনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হাইজুন ০১ নামের যে জাহাজে ব্ল্যাক বক্স ডিটেকটর সংযোজন করা হয়েছিল, সেটিই শনিবার ২৫ ডিগ্রি দক্ষিণ অক্ষাংশ ও ১০১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমায় ‘পালস সিগন্যাল’ শনাক্ত করেছে।
সঙ্কেতটির তরঙ্গমাত্রা সেকেন্ডে ৩৭.৫ কিলোহার্টজ। নিখোঁজ বিমানটির তরঙ্গমাত্রাও ছিল একই।
চীনা জাহাজে ওই এলাকার থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে সাদা ভাসমান বস্তুও দেখতে পেয়েছে। তবে এগুলো যে ওই বিমানেরই তা নিশ্চিত নয়।
বর্তমানে ১০টি সামরিক বিমান, তিনটি বেসামরিক বিমান ও ১১টি জাহাজ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে এক হাজার ৭০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ভারত মহাসাগরের দুই লাখ ১৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে দিন-রাত অনুসন্ধান করা হচ্ছে।