বিশ ওভারের ক্রিকেট রোমাঞ্চের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য লড়ছে সেরা দুটি দলই। ভারত আর শ্রীলঙ্কা দুই দলই আছে দুর্দান্ত ছন্দে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তাই প্রতিশ্রুতি মিলছে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের।
রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পঞ্চম আসরের ফাইনাল শুরু হবে সন্ধ্যা সাতটায়।
সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালেও খেলেছিল এই দুটি দল। সেবার শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছিল ভারত।
সর্বশেষ ওয়ানডে ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছে ভারত। এবার টি-টোয়েন্টির শিরোপা জিতলে প্রথম দল হিসেবে একই সময়ে সীমিত ওভারের তিনটি ফরম্যাটেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব দেখাবে তারা।
টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ দল ভারত। ক’দিন আগেই শ্রীলঙ্কাকে সরিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছে তারা। শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে লাসিথ মালিঙ্গার এই দলই তাদের শেষ বাধা।
এর আগে টি-টোয়েন্টিতে পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে ভারত-শ্রীলঙ্কা, যাতে ভারত এগিয়ে আছে ৩-২ ব্যবধানে।
বিশ্বকাপে ফাইনালটা বেদনার স্মৃতিই হয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কার। ২০০৭ ও ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ আর ২০০৯ ও ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালের পরাজিত দল তারা। তবে গত মাসে বাংলাদেশেই এশিয়া কাপ জিতেছে শ্রীলঙ্কা। তাই আশাবাদী হতেই পারে তারা।
শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটিং কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনে ও কুমার সাঙ্গাকারা শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নামছেন রোববার। তাদের বিদায় স্মরণীয় করে রাখতে চান লাসিথ মালিঙ্গা। ছন্দে না থাকায় ফাইনালেও ফেরা হচ্ছে না নিয়মিত অধিনায়ক দীনেশ চান্দিমালের। তার জায়গায় টানা তৃতীয় ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেবেন মালিঙ্গা।
টি-টোয়েন্টির প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের বোলিং। সেমি-ফাইনাল ছাড়া আর কোনো ম্যাচেই তাদের বিপক্ষে ১৩৮ রানের বেশি করতে পারেনি কোনো দল।
টানা দুই ম্যাচ করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন অমিত মিশ্র ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তাদের স্পিন সঙ্গী রবীন্দ্র জাদেজাও ভালো করছেন। এছাড়া সুরেশ রায়না, যুবরাজ সিং, রোহিত শর্মাদের মতো কয়েকজন অনিয়মিত স্পিনারকেও ব্যবহার করার সুযোগ থাকছে ধোনির। স্পিনারদের কারণে আলোচনায় খুব একটা না এলেও তিন পেসার ভুবনেশ্বর কুমার, মোহিত শর্মা, মোহাম্মদ সামিও ভালো বল করেছেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে পছন্দ করে ভারত। টুর্নামেন্টে আগের পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে তারা। টুর্নামেন্টে তিনটি অর্ধশতক করা বিরাট কোহলির কাঁধেই থাকবে মূল দায়িত্ব। তবে রোহিত শর্মা, ধোনি, রায়না, যুবরাজ সিংও যে কোনো সময়ে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন।
র্যাঙ্কিংয়ের মতো কাগজে-কলমেও শক্তিতে খুব একটা পিছিয়ে নেই শ্রীলঙ্কা। কৌশল পেরেরা, তিলকরত্নে দিলশান, জয়াবর্ধনে, সাঙ্গাকারা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস যে কোনো বোলিং আক্রমণ গুড়িয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখেন।
দুই মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে থাকায় ‘কন্ডিশনের’ সঙ্গে তারাই সবচেয়ে পরিচিত। তাই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসেও তাদের খেলায় কোনো ছন্দপতন হয়নি।
নুয়ান কুলাসেকারা, ম্যাথিউস আর মালিঙ্গার উপস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার পেস অ্যাটাক খুবই শক্তিশালী। সচিত্রা সেনানায়েকে, রঙ্গনা হেরাথ আর সেকুগে প্রসন্নরা ভারতের ব্যাটসম্যানদেরও পরীক্ষায় ফেলতে পারেন