শাহবাগে প্রজন্ম চত্বরে পাল্টাপাল্টি সমাবেশের চেষ্টারত দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় গণজাগরণ মঞ্চের পাঁচ জনসহ সাত জনকে আটক করা হয়েছে।
শাহবাগে মারামারির ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা
হবাগে মারামারি, গণজাগরণ মঞ্চের ২ কর্মী আহত
পুলিশের লাঠিপেটায় জাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ও বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লাকি আক্তারসহ দুজন আহত হয়েছেন।
পুলিশের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার শিবলী নোমান বলেন, “শুক্রবার বিকালে এখানে দুই পক্ষ সমাবেশ ডেকেছিল। আমরা আগেই বলেছি কেউ সমাবেশ করতে পারবে না। সমাবেশের অনুমতি না থাকায় আমরা তাদের সরিয়ে দিই। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।”
ঘটনাস্থল থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক সুলাইমান নিলয় জানান, গণজাগরণ মঞ্চের পাঁচজন এবং তাদের পাল্টা সমাবেশের ডাক দেয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মেহেদি হাসানসহ মোট সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক কৃষ্ণ চন্দ্র দাস জানান, গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী শামস রশীদ জয়, ধীমান আজিজ, ফরিদ আহমেদ, সোহাগ আজিজ ও টিটুকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে শাহবাগে রাখা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের চেয়ারে বসা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারিতে জাগরণ মঞ্চের দুই কর্মী আহত হন। এর প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে শাহবাগে সমাবেশের ডাক দেয় গণজাগরণ মঞ্চ।
এদিকে জাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনে তার প্রতিবাদে একই সময় শাহবাগে পাল্টা সমাবেশের ডাক দেয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিকাল ৩টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় সংসদের নেতাকর্মীরা শাহবাগে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশি বাধায় পিছু হটে তারা।
এরপর বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ইমরান এইচ সরকারের নেতৃত্বে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা শাহবাগে সমবেত হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় জাগরণ মঞ্চের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আজিজ সুপার মার্কেটের দিকে এগিয়ে যায়। মিছিলটি ঘুরে ফের শাহবাগ মোড়ে আসলে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়।
এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় লাকি আক্তার ও মাহমুদুল হক মুন্সী আহত হন। সেখান থেকে জাগরণ মঞ্চের পাঁচ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
এরপর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড ফের শাহবাগে সমাবেশ করতে চাইলে সংগঠনের সভাপতি মেহেদি হাসান এবং কর্মী পারভেজ আহমেদকে আটক করে পুলিশ