দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দশ দেশের জোট আসিয়ানের ‘ঢাকা কমিটি’ গঠনের মধ্য দিয়ে সম্পর্কের নতুন মাত্রা পেল বাংলাদেশ।
বুধবার এ কমিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হয়, যাতে যোগ দেন মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিবিদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত নরলিন ওথম্যানকে ‘ঢাকা কমিটি’র প্রধান করা হয়েছে।
কম্বোডিয়া ও লাওস ছাড়া আসিয়ান জোটভুক্ত বাকি আটটি দেশের ‘মিশন’ রয়েছে বাংলাদেশে।
ঢাকা কমিটির যাত্রাকে এশিয়ার অর্থনীতির ‘শক্তি কেন্দ্র’ আসিয়ান জোটে বাংলাদেশের অন্তুর্ভুক্তির প্রথম ধাপ হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
ব্রুনেই, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, ফিলিপাইনস, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিংগাপুর, কম্বোডিয়া এবং লাওস নিয়ে ১৯৬৭ সালে আসিয়ান জোট গঠন হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রযুক্তি ও বাজার বিকাশের সুবিধা পেতে বাংলাদেশের আসিয়ানে যোগ দিতে চেষ্টা করা উচিত। এর মাধ্যমে কূটনৈতিকভাবেও প্রভাবশালী হয়ে উঠবে বাংলাদেশ।
২০১৫ সালের মধ্যে আসিয়ানের সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে বাজার উন্মুক্ত করে দিবে। বাংলাদেশ এই জোটে যুক্ত হলে তা অর্থনীতির বিশেষ ফলদায়ক হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশের ৫০ লাখ লোক আসিয়ান জোটের সদস্য দেশগুলোতে কাজ করেন। এর মধ্যে মালয়েশিয়াও অন্যতম, যারা ইতোমধ্যেই কৃষিকাজে বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি আমদানি করতে চেয়েছে।