এবার ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তরুণী গার্মেন্ট কর্মী শোভা আক্তার (১৬)। গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর কদমতলী থানাধীন খোরশেদ আলী সরদার রোডের ১৭৭১/১ নম্বর হোল্ডিংস্থ ভাড়া বাড়িতে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগায় সে। রাত পৌনে ২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় বখাটে মাসুমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহতের মা তাছলিমা আক্তার জানান, খোরশেদ আলী সরদার রোডের ১৭৭১/১ হোল্ডিংস্থ ডাক্তার খোরশেদের বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া বাসায় স্বামী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন তিনি। শোভার বাবা পেশায় একজন রিকশা চালক। অভাবের সংসারে শোভা পাশের একটি গামেন্টসে চাকরি করতো। আসা যাওয়ার পথে স্থানীয় বখাটে শাওলিন, মিঠু ও টিটু উত্যক্ত করতো শোভাকে। এ ব্যাপারে একাধিকবার বখাটেদের অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ করেও প্রতিকার মেলেনি। বরং অত্যাচারের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বাড়ীর মালিকের স্ত্রী শিখা পাশের মহল্লায় তার মেয়ের বাসায় ঠা-া পানি দিয়ে শোভাকে পাঠায়। শোভা পানির বোতল দিয়ে বাসায় ফেরার পথে জুরাইন মিষ্টির দোকানের গলিতে বখাটে যুবক শাওলিন, মিঠু, টিটুসহ ৪/৫ জন তাকে ঘিরে ধরে। বখাটেরা তার সঙ্গে নানা অশ্লীল অঙ্গভঙ্গী করে। এক পর্যায়ে শোভাকে মারধোর করে। এ সময় শোভার বাবা এগিয়ে এলে তাকে ও চড়-থাপ্পড় মারে বখাটেরা। নিজেকে উত্যক্ত ও বাবাকে অপমান সহ্য করতে না পেরে ঘরে ফিরেই ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগায় শোভা। রাত ২টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় শোভার বাবা সোহরাব বাদী হয়ে কদমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শোভার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ভদ্রসন এলাকায়।