কারচুপির অভিযোগ এনে উপজেলায় পুনর্নির্বাচনের দাবিকে ‘হাস্যকর’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে আওয়ামী লীগ।
সদ্য হয়ে যাওয়া উপজেলা নির্বাচন বাতিলে বিএনপির দাবির প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি বলেছেন, “কিছু বিশৃঙ্খলা হয়েছে, তবে সার্বিকভাবে উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।”
উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দিকে বিএনপি এগিয়ে থাকলেও চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপে তাদের ছাড়িয়ে এগিয়ে যায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপির দাবি, তাদের জয় ছিনিয়ে আনা হয়েছে।
নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে মনে করেন কি না- এই প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, “গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে ভোটের চিত্র তুলে ধরেছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, তারা কিছু এলাকার চিত্র তুলে ধরেছে। এতে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই।”
আগামীতে নির্বাচনকে আরো ‘গ্রহণযোগ্য’ করতে ইলেক্টনিক ভোটিং মেশিন(ইভিএম) পদ্ধতি ব্যবহারের ওপর জোর দেন তিনি।
নির্বাচনকে কলুষিত করতে বিএনপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার করছে বলে দাবি করেন দীপু মনি।
“কোনো কোনো বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূতই শুধু নয়, ধৃষ্টতাপূর্ণও বটে। সেই ধারাবাহিকতাকে অনুসরণ করে গতকালও তারা কিছু অবান্তর কথাবার্তা বলেছেন।”
সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি নেতারা বলছেন, এই সরকার এবং এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাবেন না। আমরা মনে করি, এটি আষাঢ় গল্প বৈ আর কিছুই নয়। কারণ, তারা অতীতে এমনি ধরনের কথা বহুবার উচ্চারণ করেছেন, তারা নিয়মিত তার বরখেলাপও করেছেন।”
২০০১ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক নিপীড়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন,“বাংলাদেশের জনগণ তাদের এই সকল অপরাধের দায়ভার থেকে কোনোদিনই তাদের নিষ্কৃতি দেবে না।”
“আমরা আশা করব, বিএনপি নেতৃবৃন্দ অচিরেই সর্বনাশা আত্মঘাতী কার্যকলাপ থেকে বিরত হবেন। তাদের শুভ চেতনা ও বোধশক্তি জাগ্রত হবে,” বলেন দীপু মনি