ফখরুদ্দীন-মইনের বিচার না হওয়ায় মেননের ক্ষোভ

0
147
Print Friendly, PDF & Email

বুধবার সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে এই খেদ জানান গত সরকারের সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকা মেনন।

তিনি বলেন, “আমরা ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিনের বিচার নিয়ে অনেক কথা বলি কিন্তু কাজে পরিণত করিনি। তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেয়া হলো অথচ আজো তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হলো না।”

২০০৭ সালের অগাস্টে ছাত্র বিক্ষোভের কারণ অনুসন্ধানে গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রতিবেদন দেয়।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমদ এবং তৎকালীন সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদসহ ছয়জনকে প্রচলিত আইনে বিচারের মুখোমুখি করার সুপারিশ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রতিবেদনে ১৩টি সুপারিশ ও ১১টি পর্যবেক্ষণ রাখে কমিটি।

প্রতিবেদনের বিষয়টি তুলে ধরে মেনন বলেন, অনেক দেশে সেনা শাসকদের বিচার চলছে। পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে।

“আমরাও পারতাম ফখরুদ্দীন-মইনউদ্দিনকে বিচারের সম্মুখীন করতে। স্বাধীনতার পর থেকেই ষড়যন্ত্রের জাল বোনা শুরু হয়েছিল, আজো তা অব্যাহত আছে।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কয়েকজন ছাত্রের সঙ্গে সেনাসদস্যদের তর্কাতর্কির জের ধরে ২০০৭ সালের ২০ অগাস্ট ছাত্রবিক্ষোভের সূচনা হয়। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা।

টানা চারদিন বিক্ষোভের পর ২৩ অগাস্ট কারফিউ জারি করা হয়। এরপর ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শিক্ষকসহ অনেক ছাত্রকে সে সময় গ্রেপ্তার করা হয়। বিভিন্ন মামলায় আসামি করা হয় তাদের।

এরপর গ্রেপ্তার ছাত্র-শিক্ষকদের মুক্তি এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ফের ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়। এক পর্যায়ে পিছু হটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে বাধ্য হয় সরকার।

শেয়ার করুন