উপজেলা নির্বাচনে ব্যাপক সংঘাত সংঘর্ষ হয়েছে

0
118
Print Friendly, PDF & Email

প্রথম ধাপে নির্বাচন মোটামুটি শান্তিপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় ধাপ থেকে পঞ্চম ধাপ পর্যন্ত উপজেলা নির্বাচনে ব্যাপক সংঘাত, সংঘর্ষ এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই, জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটেছে বলে মানবাধিকার সংস্থা অধিকার জানিয়েছে।
সংস্থাটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবার মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসংখ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অনেক অভিযোগ ছিল। এই সব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকার সমর্থক প্রার্থীদের বিশেষ নির্বাচনী সুবিধা দেয়া, আচরণবিধি লংঘন সত্ত্বেও ব্যবস্থা না নেয়া, প্রতিপক্ষকে হয়রানি করাসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা। এছাড়াও নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী রিটানিং ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বেশীরভাগ অভিযোগই হচ্ছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এইসব অভিযোগ করেন বিএনপি তথা বিরোধী দলের পরাজিত প্রার্থীরা। এইসব প্রার্থীর অভিযোগ, নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ব্যাপক ধরপাকড় ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন। এছাড়া আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য যারা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করতে চেয়েছেন, ক্ষমতাসীন দলের হুমকি এবং প্রভাবের কারনে তারাও সে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। এ ধরনের অসংখ্য অভিযোগ নির্বাচন কমিশনে এসেছে। কিন্ত এসব অভিযোগের বেশিরভাগই আমলে নেয়নি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের এই নিষ্ক্রিয়তার কারণে নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ থেকে পঞ্চম ধাপ (শেষ ধাপ) পর্যন্ত ব্যাপক সংঘাত, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে এবং ব্যালট পেপার ছিনতাই, জাল ভোট দেয়া ও ভোট কেন্দ্র দখলের মতো ঘটনা ঘটেছে। মার্চ মাসে তৃতীয়,চতুর্থ ও পঞ্চম ধাপের ৩টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় ধাপে ১৫ মার্চ ৮১টি; চতুর্থ ধাপে ২৩ মার্চ ৯১টি এবং পঞ্চম ধাপে ৩১ মার্চ ৭৩টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

শেয়ার করুন