পাকিস্তানের শীর্ষ পর্যায়ের এক সরকারি কর্মকর্তা ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, দেশটির সাবেক সেনাশাসক জেনারেল (অব.) পারভেজ মোশাররফকে ‘মানবিক’ কারণে নিরাপদে সৌদি আরবে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে। সৌদি আরবের সরাসরি মধ্যস্থতায় একটি গোপন চুক্তির অংশ হিসেবে তাকে পাকিস্তান ত্যাগের অনুমতি দেয়া হবে বলে জানান তিনি। মোশাররফের পাকিস্তান ছাড়ার যে গুজব চলছে, সেই একই ঘটনা প্রকৃতপক্ষে আগেও ঘটেছে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও তার পরিবারবর্গকে সেবার গোপন চুক্তির আওতায় সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছিল। যদি গুজব সত্যি হয়, তবে তা হবে সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা টিএনএন। কূটনৈতিক বিভিন্ন সূত্র থেকে বলা হচ্ছে, তুরস্ক ও চীনসহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশ মোশাররফকে নিরাপদে দেশ ছাড়ার অনুমতি প্রদানে নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বাধীন সরকারকে অনুরোধ করেছে। এ ব্যাপারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তার শীর্ষ সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। কিভাবে মোশাররফের নাম ‘এক্সিট কন্ট্রোল লিস্ট’ থেকে বাদ দেয়া যায়, তার পথ খুঁজতে আলোচনা করেন তিনি। পাকিস্তানের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এই তালিকার আওতাভুক্ত কোন ব্যক্তি দেশত্যাগ করতে পারবেন না। তবে পাকিস্তান মুসলিম লীগ- নওয়াজের (পিএমএল-এন) কয়েকজন সদস্য এর বিরোধিতা করেন। এর আগে অসুস্থ মাকে দেখতে দুবাই ও নিজের মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাবার অনুমতি প্রার্থনা করেছিলেন মোশাররফের পক্ষের আইনজীবী। এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষকরাও তাদের মত দিয়েছেন। এক বিশ্লেষক ফাসিহুর রেহমান বলেছেন, যদি অভিযুক্ত না হয়েই মোশাররফ পাকিস্তান ছাড়তেন, সেক্ষেত্রে তিনি তার চামড়া বাঁচাতে পারতেন। কিন্তু, এখন যেহেতু তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন, তাই তিনি দেশে অবস্থান করুন বা বিদেশে সফর করুন, তার বিচার হবে। সম্প্রতি একটি বিশেষ আদালত মোশাররফকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত করার প্রেক্ষিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে সাবেক সেনাশাসক পাকিস্তান ছাড়তে পারেন, এমন গুজবও দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছে।