ষুব্ধ জেমস। কারণ, মাঝে কিছু বিরতির পর ইদানীং বিভিন্ন ওয়েবসাইট অবৈধভাবে জেমসের গান নিয়ে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ নিয়ে দারুণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এ তারকা। বিভিন্ন নামে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটগুলোতে জেমসের গান প্রকাশ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এবং সেগুলো বিক্রি হচ্ছে দেদার। অথচ এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। অনুমতির পরোয়া না করেই অনলাইনগুলো তার গান প্রকাশ এবং বিক্রি করছে। এ প্রসঙ্গে জেমসের ভাষ্য এমন, ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইটে গান প্রকাশের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। ওইসব ওয়েব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করারও কোন অবকাশ নেই। আমি বিষয়টি নিয়ে খুবই বিরক্ত। এবং এ বিষয়ে আমি কাউকে ছাড় দিতে রাজি নই। আমি এখন আমার আইনি ব্যবস্থায় এগুচ্ছি। এদিকে জেমসের ম্যানেজার রবিন জানান, গত বছর ডিজিটাল রেকর্ড লেভেল মাসরুম এন্টারটেইনমেন্টে (এমই লেভেল) জেমস ভাইয়ের পুরনো সব গান প্রকাশ করেছে। এ বিষয়েও আমরা কোন কিছুই বলতে পারবো না। বলা যায়, তারা অবৈধভাবে গানগুলো নিয়ে ব্যবসা করছে। এটা খুবই নিন্দনীয় এবং দুঃখজনক। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রবাসী কিছু বাঙালি যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করছেন দীর্ঘদিন ধরে। এমন প্রতারণার বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হওয়া উচিত। জানা যায়, একইভাবে জেমসের প্রায় সব গান বিভিন্ন ওয়েবসাইটে শোভা পাচ্ছে। জেমস জানান, এসব অনলাইন কিংবা পাইরেসি প্রতারণার কারণে আমি দীর্ঘসময় অ্যালবামের বাইরে আছি। বলতে পারেন কিছু অভিমান কিছু প্রতিবাদ স্বরূপ। অথচ কোনই লাভ হচ্ছে না। যে যার মতো করে লুটপাট করে যাচ্ছে। এবার আমি এর একটা পরিষ্কার সমাধান করতে চাই। আর নীরব দর্শক হয়ে গ্যালারিতে বসে থাকতে চাই না।