ক্ষমতা ছাড়তে না চাইলে আপনাদের করুণভাবে বিদায় নিতে হবে – খন্দকার মাহবুব

0
112
Print Friendly, PDF & Email

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, একদিকে ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার মোবারক  আওয়ামী লীগের দলীয় দায়িত্ব পালন করছেন অন্যদিকে গণতন্ত্রকে হত্যা করে সরকার হায়নার মত উল্লাস করছে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে  হিউম্যান রাইটস এন্ড সোসাল ডেভলপমেন্ট অরগানাইজেশন আয়োজিত ‘অবরুদ্ধ গণতন্ত্র ও বিপন্ন মানবাধিকার আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন রুমীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হোসেন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সিমকী ইমাম প্রমুখ।

খন্দকার মাহবুব বলেন, পঞ্চম দফা উপজেলা নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। তারা সরকারের একটি আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আরো  প্রমানিত হয়েছে ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার  মোবারক আওয়ামী লীগের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করছেন। উপজেলা নির্বাচনে গিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল সঠিক। আওয়ামী লীগ আবারও প্রমাণ করলো তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করার ষড়যন্ত্র করছে। এতে মনে হয় না, তারা ৫ বছরের আগে ক্ষমতা ছাড়বে। সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আগামী  ৫ বছর আগে ক্ষমতা ছাড়তে না চাইলে আপনাদের করুণভাবে বিদায় নিতে হবে। তখন আর পুলিশের অস্ত্র কাজে লাগবে না। তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান দেশে কোনো গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অস্তিত্ব নেই। কারণ আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হত্যা করেছে। উপজেলা নির্বাচনে সরকারদলীয় সমর্থিত প্রার্থীরা ভোটকেন্দ্র দখল ও জালভোট প্রদান করে ফলাফল ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ওসমান ফারুক বলেন, আমাদের গণতন্ত্র আজ মৃতপ্রায়। এই গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী সরকার এবং নির্বাচন কমিশনার। বর্তমান নির্বাচন কমিশনার সরকারের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।

দেশের আজ কোন মানবাধিকার নেই। মানুষ আজ বিচার পাচ্ছে না। গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বললেই তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আজ জেলখানাও আসামি রাখার জায়গা পাচ্ছে না। এই সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হলো ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।

শেয়ার করুন