নিজেদের রেকর্ড ভাঙল মেয়েরা

0
260
Print Friendly, PDF & Email

ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড ও ভারতের কাছে ব্যাটিং দৈন্যতায় হেরে যাওয়া বাংলাদেশের মেয়েরা গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেমেছিল। গত তিন ম্যাচের মধ্যে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ছিল তাদের ৭৯। বারবার ৮০’র বৃত্তে ঘুরপাক খেতে থাকা সালমা খাতুনের দল ব্যাটিং দিয়ে তৃপ্ত করল। এবারের বিশ্বমঞ্চে নিজেদের দলীয় স্কোর প্রথমবারের মতো তিন অঙ্কের ঘরে নিয়ে গেল স্বাগতিকরা। নয় উইকেটের বিনিময়ে শ্রীলঙ্কাকে ১১৬ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ। এর আগে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল সাত উইকেটে ১১৩ রান, গত বছর ৫ এপ্রিল স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে।

প্রথমবারের মতো টস জিতেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সালমা। আয়েশা রহমান চতুর্থ বলে উদেশিকা প্রাবোদানিকে একটি চার মেরে পরের বলেই বোল্ড হন। ডানহাতি পেসারের সুইং বুঝতে না পারায় থামে তার ৫ বলে ছয় রানের ইনিংস।

মাঠে নেমে রয়েসয়ে খেলতে থাকেন অধিনায়ক সালমা খাতুন। তবে চতুর্থ ওভারে দারুণ স্ট্রোক দেখালেন স্বাগতিক অধিনায়ক। মাধুরী সামুদ্দিকাকে টানা চারটি বাউন্ডারি মেরে এক ওভারেই এনে দিলেন ১৯ রান।

অবশ্য ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বলে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক শশীকলা শ্রীবর্দনের বলটি তুলে দেন চামারি পোলগামপালোর হাতে। ১৮ বলে চারটি চারে সাজানো ২২ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেন সালমা।

লতা মন্ডল এদিও হতাশ করলেন। চান্দিমা গুনারত্নের বলে এলবিডব্লু হয়ে খালি হাতে সাজঘরে যান তিনি। দুটি বাউন্ডারি হাঁকানো শারমিন আখতার (১৮) দলীয় ৬২ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আউট হন। ১২ রানের মধ্যে আরও দুটি উইকেট বিসর্জন দিতে হয় স্বাগতিকদের।

তবে রুমানা আহমেদের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের সুবাদে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছায় বাংলাদেশ। শেষ ওভারে চামারি আতাপাত্তুর থ্রোতে রান আউট হতে হয় তাকে। এর আগে তিনটি চারে ৪১ রানের ইনিংস সেরা পারফরমেন্স করেন রুমানা।

বি গ্রুপের প্রথম ম্যাচে একমাত্র জয় এসেছিল শ্রীলঙ্কার। আর এখনও জয়ের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা।

বাংলাদেশ: রুমানা আহমেদ, লতা মন্ডল, সালমা খাতুন, পান্না ঘোষ, জাহানারা আলম, আয়েশা রহমান, ফাহিমা খাতুন, সানজিদা ইসলাম, শারমিন আক্তার সুপ্তা, সোহেলী আখতার ও শামিমা সুলতানা।

শ্রীলঙ্কা: শশীকলা শ্রীবর্দনে, মাধুরী সামুদ্দিকা, এশানি লুকুসুরিয়া, শ্রীপালি বীরাকোড্ডি, যাসোদা মেন্ডিস, চামারি আতাপাত্তু, উদেশিকা প্রাবোদানি, চান্দিমা গুনারত্নে, চামারি পোলগামপোলা, রেবেকা ভান্দোর্ট, হাসিনি পেরেরা

শেয়ার করুন