কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে দুটো বোমা বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত হয়েছেন, খবর জানিয়েছে সরকারী সূত্র। শহরের প্রাণকেন্দ্র ইস্টলেই’তে ওই হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। উল্লেখ্য, বৃহৎ সোমালি জনসংখ্যার কারণে ‘ছোটো মোগাদিসু’ নামে পরিচিত ইস্টলেই।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যেবেলায় লোকজন ঘরে ফেরার সময়টিতে ভিড়ে ঠাসা একটি বাস স্টপ ও একটি খাবারের দোকানের দিকে বোমাদুটো ছুঁড়ে মারা হয়। কেনিয়ার সংবাদপত্র ‘স্ট্যান্ডার্ড’ জানায়, ইলাভেন্থ স্ট্রিটে পরস্পর থেকে ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) দূরত্বের দুটো স্থানে বোমা দুটোর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। হামলার শিকাররা ভীষণভাবে আহত হয়েছেন। বিদেশী এক সংবাদ মাধ্যমকে স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে বলে সন্দেহ করছি আমরা।’ সম্প্রতি বেশ কয়েকবার গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে ইস্টলেইতে। গত ডিসেম্বর মাসে চালানো এমনই এক হামলায় চারজন নিহত হন।এক সপ্তাহ আগে একদল হামলাকারী কেনিয়ার মোম্বাসা বন্দরের নিকটবর্তী একটি গির্জায় আচমকা ঢুকে পড়ে প্রার্থনারত লোকজনের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করলে ছয়জন নিহত হন। হামলা বন্ধে শহরে বসবাসরত সকল সোমালি উদ্বাস্তুকে শহর ছেড়ে নির্দিষ্ট ক্যাম্পে গিয়ে বাস করার আদেশ জারি করেছে কেনিয়া সরকার। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ ওলে লেন-কু জানিয়েছেন, কেনিয়া ‘জরুরি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ’ মোকাবিলা করার কারণে জারি করা হয়েছে এই আদেশ। ওদিকে একটি উদ্বাস্তু দল এ আদেশকে অবৈধ বলে ধিক্কার জানিয়েছে।আল-কয়েদর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত গেরিলা দল আল-শাবাশ নিয়ন্ত্রণে জাতিসংঘের সমর্থনপুষ্ট সোমালিয়া সরকারকে সাহায্য করার জন্য কেনিয়ার কয়েক হাজার সেনা অবস্থান করছে সোমালিয়াতে। এদিকে সর্বশেষ এই হামলার দায়িত্ব এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার না করলেও অনেকেই সোমালি গেরিলা গোষ্ঠী আল-শাবাবের দিকে আঙুল উঁচিয়ে ধরেছেন। এ গোষ্ঠীর মাত্র চারজন সদস্য গত সেপ্টেম্বরে নাইরোবির একটি শপিং মল চারদিন ধরে অবরোধ করে রাখে। পরবর্তীতে সেনারা তা দখলমুক্ত করতে গেলে ৬৭ জন নিহত হন উভয়পক্ষের গোলাগুলিতে।সর্বশেষ এই হামলার আগে ইস্টলেইতে এ গোষ্ঠীর সদস্যরা অবস্থান করছিলেন বলে খবর পাওয়া গেছে। প্রেসিডেন্ট উহুরু কেনিয়াত্তা বলেছেন, ইসলামপন্থী এই জঙ্গিদের হুমকির কারণে কেনিয়ার পর্যটন বিভাগ ‘হাঁটুতে ভর দিয়ে’ দাঁড়িয়ে আছে