বাংলাদেশের খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান ‘পদ্মভূষণ’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন।
সোমবার ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির কাছ থেকে তিনি এ সম্মানসূচক উপাধি গ্রহণ করেন। এ সময় তাকে স্বর্ণপদকও দেওয়া হয়।
এ উপলক্ষে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য মোট ৬৬ জনকে ‘পদ্মভূষণ’ উপাধি দেওয়া হয়েছে।
‘পদ্মভূষণ’ উপাধি গ্রহণের পর অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, এটা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করবে।
তিনি বলেন, আমার কাছে এই সম্মান ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত। ভারত সরকারের এই সম্মান গ্রহণ করে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এরপর আমি নিজেকে আরো বেশি করে সাহিত্য সৃষ্টির কাজে নিয়োজিত করবো।
এদিকে, পুরস্কার প্রদান উপলক্ষে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে প্রকাশিত বইয়ে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সম্পর্কে লেখা হয়েছে, আনিসুজ্জামানের গবেষণা বাংলা সাহিত্য ও সমাজকে সমৃদ্ধ করেছে। তার সৃষ্ট সাহিত্যকর্ম বাংলাদেশের ও বাইরের বহু গবেষককে উদ্বুদ্ধ করেছে। গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য তার সংগ্রাম এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধানে বাংলা অংশটির সংযোজন আনিসুজ্জামানেরই অবদান। মানপত্র ও স্বর্ণপদক তুলে দেওয়ার সময় ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আপনার সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে আমি অবহিত। ভবিষ্যতে আরো সৃজনশীল কাজ করবেন বলে আম আশা রাখি।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি ড. হামিদ আনসারি, প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্ধে উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ছাড়াও ভারতের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ড. রঘুনাথ এ মাশেলকর, উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী বেগম পারভীন সুলতানা, অভিনেতা কমল হাসান, ক্রীড়াবিদ পুল্লেলা গোপিহ্যান্ড এ উপাধিতে ভূষিত হন।