দুর্ধর্ষ ডাকাতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। গতকাল (সোমবার) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পঞ্চম দফা উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
রিজভী বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আমরা যে আশঙ্কা করেছিলাম তা সত্যি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় সরকার সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হলো, এ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আমরা নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করি।
নির্বাচনী এলাকাগুলোর সার্বিক চিত্রের বিবরণ দিয়ে রিজভী বলেন, পুলিশ, র্যাাব ও বিজিবির উপস্থিতিতে বেশিরভাগ উপজেলায় কেন্দ্রদখল করে নিয়েছে সরকার দলীয় লোকজন। পঞ্চম দফায় প্রায় ৪০টির মতো উপজেলায় প্রায় সবগুলো কেন্দ্র দখল করা হয়েছে। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে বিএনপি দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছে। নতুন করে প্রমাণ হয়েছে, এ সরকার দানবীয় সরকার। ভোটারবিহীন নির্বাচন করে বেহায়ার মতো ক্ষমতায় থাকতে চায়।
রিজভী বলেন, আমরা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এ নির্বাচনে অংশ নেয়া আমাদের আন্দোলনের একটা অংশ। আমরা আন্দোলনেই আছি। অল্প সময়ের মধ্যেই নেতারা যৌক্তিক আন্দোলন কর্মসূচি দেবেন। তিনি বলেন, এখন নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে এমন দানবীয় ও জনগণের রক্ত চোষা সরকার সরাতে হবে।
বিএনপি মাঠের আন্দোলনে কবে নামবে- এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, যে আন্দোলন হয়েছে সেভাবে তীব্র আন্দোলন স্বাধীনতার পরও হয়নি। এই নির্বাচনও আমাদের আন্দোলনের অংশ ছিল। জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত আমরা, জনগণ যেখানে সুবিধা পাচ্ছে, আমাদের পক্ষে ভোট দিচ্ছে। যৌক্তিক আন্দোলন আসছে।
বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে ভারপ্রাপ্ত সিইসির বক্তব্যের কড়া সামালোচনা করেন রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত সিইসি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আওয়ামী লীগের দফতর ও প্রচার সম্পাদকের বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি সিইসির উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা আপনাকে চিনি, আপনার সম্পর্কে জানি। আমরা বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপ থেকে আসিনি। আপনারা যে ন্যক্কারজনক ভূমিকা নিয়েছেন, এর জন্য জনগণ সংগঠিত হয়ে অবশ্যই একদিন উপযুক্ত জবাব দেবে। জনগণ একদিন আপনার নাক মাটিতে খসিয়ে বিচার করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আসাদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন সুলতানা, সহ-দফতর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ