আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের হাত-পা কেটে নেয়ার হুমকির জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্ব চন্দ্র রায় পাল্টা দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে বলেছেন ‘অপেক্ষা করুন, সময় এলেই সমুচিত জবাব দেয়া হবে।’
একজন সংসদ সদস্য হয়ে এমন কথা বলে কী করে সদস্য পদ থাকে এই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ আয়োজিত ‘যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্ট সঙ্কটে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘ভারত এদেশকে এদেশের মানুষকে ভালবাসে না। তারা ভালবাসে আওয়ামী লীগ ও হাসিনাকে।’
তিনি দেশের গণতন্ত্র সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, ‘বাই দ্যা ইনডিয়া, অব দ্যা ইনডিয়া ফর দ্যা ইনডিয়া। ভারত এদেশের জনগণকে ভালবাসে না। তাহলে আমরা কি করে তাদের শ্রদ্ধা করি।’
তিনি বলেন, সঙ্কটের ভাবমূর্তি নাকি দেশ ও মানুষকে রক্ষা করব। যে দেশে আইনের শাসন অনুপস্থিত সেদেশে মানবাধিকার থাকতে পারে না। যে দেশে গণতন্ত্র নেই সেদেশে মানবাধিকার কি করে থাকে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার রিপোর্টকে অসম্পূর্ণ দাবি করে বলেন, ‘আমি মনে করি না এ রিপোর্ট সম্পূর্ণ। তারা যেসব ফাঁকফোকর পায় তার আলোকেই রিপোর্ট তৈরি করে। এর চেয়েও ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছেন গ্রামেগঞ্জে।’
পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচনকে মাববাধিকার লঙ্ঘন দাবি করে তিনি বলেন, ‘দেশে কোনো মানুষের অধিকার নেই, তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে না। প্রতিদিন গুম ও হত্যার শিকার হচ্ছে। এসব তো কোনো মানবাধিকার কর্মী বলেন না।
সংগঠনের মহাসচিব আসম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে গোলটেবিল অলোচনায় আরো অংশ নেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ও স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ।
উল্লেখ্য, রোববার তেজগাঁ থানার কয়েকটি ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘মাঠে নামুন, হাত-পা কেটে দেয়া হবে।’