প্রবাস থেকে বাড়িতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ফিরে খুন হয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক নেতা।
শনিবার মধ্যরাতে নিহত মুহিদুল ইসলাম মারুফ (৩৬) চর পার্বতী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।
তিনি আওয়ামী লীগের গণচীন শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন কামরুল।
মারুফ হত্যাকাণ্ডের জন্য স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাকে দায়ী করছেন স্থানীয়রা। মারুফকে খুনের পর মো. ইয়াসিন নামে ওই নেতার বাড়ি পুড়িয়েও দেয়া হয়।
ইয়াসিন চর পার্বতী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তার বাড়িতে রাতে পুলিশ অভিযান চালালেও তাকে পাওয়া যায়নি বলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সাজিদুর রহমান জানিয়েছেন।
মারুফ বেশ কয়েক বছর ধরে চীনে বসবাস করছিলেন। সেখানে ব্যবসাও করতেন তিনি।
ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল বলেন, এলাকায় বিভিন্ন অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে মারুফসহ একদল যুবক প্রতিবাদ করে আসছিলেন।
গত ২৬ মার্চ এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করা হলে তা নিয়ে ইয়াসিনের সঙ্গে মারুফের বিরোধ দেখা দেয় বলে স্থানীয়রা জানায়।
মারুফের সহযোগিতায় ধর্ষণের ঘটনায় যে মামলা হয়, তাতে ইয়াসিনের ছোট ভাই আজাদসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়। এরপর থেকে মারুফ হুমকি পাচ্ছিলেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল বলেন, “তার জের ধরেই রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইয়াসিন ও তার সহযোগীরা চৌধুরীর হাট পূর্ব বাজারে মারুফকে একা পেয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তারা মারুফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি চালিয়ে হত্যা করে।”
মারুফ হত্যার পরপরই ইয়াসিনের বাড়িসহ আশপাশের চারটি ঘরে হামলা চালায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তারা ইয়াসিনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে ওসি সাজিদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “ইয়াসিনের বাসায় পুলিশ অভিযান চালায়। তাকে পাওয়া না গেলেও দুটি পাইপগান, শটগান তৈরির সরঞ্জাম, চাপাতিসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।”
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর নবী চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি