রেজাল্ট ঠিক করাই থাকে, নির্বাচনের দিন শুধু ঘোষণা দেয় -খালেদা জিয়া-

0
139
Print Friendly, PDF & Email

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আগামী ৩১ মার্চ উপজেলা নির্বাচনের রেজাল্ট আগেই ঠিকঠাক করা আছে। আগের রাতে বাক্সে ব্যালট পেপার ভরে পরেরদিন সে রেজাল্ট ঘোষণা করা হয়। উপজেলা নির্বাচন শেষ হলেই নতুন নির্বাচনের দাবিতে জোরালোভাবে আন্দোলন শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র মৃত। আইনের শাসন, মানবাধিকার কোনো কিছুই নেই। এভাবে দেশ চলতে পারে না। উপজেলা নির্বাচন ৩১ মার্চ শেষ হবে। এরপর আন্দোলন শুরু করা হবে। আন্দোলনে কোটি টাকা দিয়ে মানুষ আনতে হবে না। জনগণের ওই গণঅভ্যুত্থান গিনেস বুকে এমনিতেই স্থান পাবে। সরকারকে বলে দিতে চাই, বহুত হয়েছে, জনগণের অর্থ অপচয় করে এভাবে জনপ্রতিনিধিত্বহীন সংসদ চালানোর আর প্রয়োজন নেই। অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় বেশি দেরি হলে ‘আন্দোলন তীব্র’ করা হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেন বেগম খালেদা জিয়া।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি সমর্থিত বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)  দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন-২০১৪ উপলক্ষে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। ৫৪ মিনিটব্যাপী বক্তব্যে খালেদা জিয়া দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আইন-শৃঙ্খলা, গণমাধ্যমের অবস্থা, সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন, দশম সংসদ, মুক্তিযুদ্ধ, চলমান আন্দোলন ও এর ভবিষ্যৎ কর্মকৌশলসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন।
সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সম্পর্কে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, এই অবৈধ সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তারা দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে। তাই আন্দোলন আমাদের করতেই হবে। সময় কাল নির্ধারণ করে আন্দোলন হবে না। আন্দোলন চলছে, চলবে।
উপজেলা নির্বাচনে জোর করে ক্ষমতাসীনদের বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার নানা ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারি ও চলমান উপজেলা নির্বাচনই প্রমাণ করে দিয়েছে, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এটা এখন কেবল গোটা বাংলাদেশের মানুষ নয়, বিদেশীরাও মনে করে। সেজন্য বিদেশীরা বলেছে, সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এটা দেরি করলে চলবে না। সব দলের অংশ গ্রহণে সুষ্ঠু নির্বাচনে যারা বিজয়ী হবে সেই ফলাফল নিয়ে কোনো আপত্তি করা হবে না বলেও ঘোষণা দেন বিএনপি চেয়ারপার্সন।
২৬ মার্চ লাখো কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত অনুষ্ঠানের প্রসঙ্গ টেনে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, শত কোটি টাকা খরচ করে জাতীয় সঙ্গীত গাইলে লাভ হবে না। টাকা খরচ করে বাস ভর্তি মানুষ নিয়ে এসে এই অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এভাবে গিনেস বুকে  নাম উঠানো যায় না। আমাদের আন্দোলনে কোটি টাকা দিয়ে মানুষ আনতে হবে না। জনগণের ওই গণঅভ্যুত্থান গিনেস বুকে এমনতিইে স্থান পাবে।
বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না- ক্ষমতাসীনদের এই বক্তব্য খ-ন করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো বাসে গান পাউডার দিয়ে মানুষ হত্যা, লগি-বৈঠা দিয়ে মানুষ পিটিয়ে মারার মতো আন্দোলন বিএনপি করতে জানে না। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করি। ৫ জানুয়ারি ভোট বর্জনের ওই আন্দোলনে সারাদেশে আন্দোলন হয়েছে। রাজধানী ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছিলো। তিন মাস সারাদেশ এই সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিলো। যখন আমরা টানা কর্মসূচি বন্ধ করলাম, তখন সরকার যৌথ বাহিনী দিয়ে সারা দেশে যৌথ অভিযান চালিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম-হত্যা করেছে। এখনো এই গুম-হত্যা-গণহত্যা চলছে। সরকারকে বলব, এসব হত্যাকা- বন্ধ করুন। নইলে এর পরিণতি ‘শুভ’ হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন ১৯ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভিসহ বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়া, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এই সরকারের টার্গেট এখন সাংবাদিকরাও। তাদের আমলে এ পর্যন্ত ২৩ জন সাংবাদিক হত্যা হয়েছে। বিভিন্নভাবে তাদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সাংবাদিক সমাজকে সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহবানও জানান বিএনপি চেয়ারপার্সন।
দশম সংসদকে অবৈধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সংসদ জন প্রতিনিধির সংসদ নয়। সংসদে একটি বিরোধী দল একটি আছে, এটা সরকারের গৃহপালিত ও অনুগত। সরকার যা আদেশ করছে, তা তাদের মানতে হচ্ছে। মানতে বাধ্য। উপজেলা নির্বাচনে প্রমাণ হয়ে গেছে, মাঠ পর্যায়ের জনগণের কাছে এই তথাকথিত বিরোধী দলের কী অবস্থা। বিরোধী দল নেতা পরিচয়দানকারী নেতা বলেছেন, চাপের মুখে তিনি নির্বাচনে গেছেন। এখন তিনি বলছেন, রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। তাই তাকে বলব, এখনো সময় আছে, পদত্যাগ করে চামড়া বাঁচান।
ক্ষমতায় আসলে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমে উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, এবার আমরা ক্ষমতায় আসলে নতুন পত্রিকা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। আগে কিছু না শিখলেও এবার শিখেছি। সাংবাদিকরা যাতে বেকার না থাকে তার ব্যবস্থা করা হবে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নেই উল্লেখ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, আজ সরকার আইনের শাসনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমিও এর সাক্ষী। নিজে তিন ঘন্টা আদালতে বসেছিলাম। আমাকে কোনো কিছুই জিজ্ঞাসা করলো না। হঠাৎ করেই আমার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে চার্জ গঠন করা হলো। এটা অন্যায়, এটা মানি না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিচার বিভাগের ওপর নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ থাকায় আদালতে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায় ও সুবিচার পাচ্ছে না। আমরা পক্ষে চাইনা, সুবিচার ও ন্যায় বিচার চাই।
সরকারী কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের আহবান জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, অন্যায় কাজের সঙ্গে জড়িত হবেন না। পেশাদারী হিসেবে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করুন। নিজেরা সরকারের অন্যায় কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত হয়ে অপরাধী হবেন না। বিনা টেন্ডারে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের কর্মকা-ের জন্য আইন করে দুর্নীতিকে বৈধতা দেয়া হয়েছে। যতই আইন করা হউক না কেনো বিনা টেন্ডারে ওইসব প্রকল্প স্থাপনের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন উল্লেখ করে তিনি বলেন,  এখন এই দেশের স্বাধীন অস্তিত্ব নেই। অন্যখান থেকে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের জনগণের কর্মসংস্থান নেই। মানুষ চাকরি পাচ্ছে না।
সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, দেশের মানুষজনকে বেকার রেখে বিদেশীদের কর্মসংস্থান করছে সরকার। বিশেষ করে একটি বিশেষ দেশের মানুষজন এদেশে কাজ পাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে দেখা যাবে, তাদের ওয়ার্ক পারমিট নেই, তারপরও তারা এখানে কাজ করে যাচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা মুখে মুখে কেবল মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধে তারা যায়নি, যুদ্ধেও অংশ নেয়নি। মুক্তিযুদ্ধের দল দাবি করলেও তারা একাত্তরে রণাঙ্গনে ছিলো না, সীমান্ত পাড়ি দেয়া শরণার্থী মুক্তিযোদ্ধা ছিলো।
যুদ্ধাপরাধীদের সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু রাজাকার রাজাকার বলে। অথচ তাদের নিজেদের দলে কত রাজাকার আছে, তা দেখে না। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কোথায় ছিলো?  সে পাকিস্তানি প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করেছে। তাকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। তার তো এখন জেলে থাকার কথা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের প্রতি ইংগিত করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, এই সরকার প্রধান এমন একজনকে বিশেষ উপদেষ্টা বানিয়েছেন যার মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ভূমিকা কি ছিলো? একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এই ভদ্র লোক পশ্চিম পাকিস্তান থেকে দেশে ছুটি কাটিয়ে আবার সেখানে ফিরে গেছেন। এগুলো হচ্ছে আওযামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নমুনা।
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানাতে শিক্ষাবিদদের এগিয়ে আসার আহবানও জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, গায়ের জোরে ক্ষমতায় বসে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে প্রকৃত ইতিহাসকে ঢেকে রাখা যাবে না। এটা বেশি চলবে না। পদ্মাসেতু,পুঁজিবাজার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিসমিল্লাহ, ডেসটিনি, হলমার্কসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ লুট করে ক্ষমতাসীনরা বিদেশে পাচার করেছে বলে অভিযোগও করেন তিনি।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, একাত্তরে পাকিস্তানিরা দেশ ছেড়ে চলে গেলে তাদের সম্পত্তি দখল করেছে আওয়ামী লীগের লোকজন। এ দেশ থেকে হিন্দুরা চলে গেলে তাদেরও সব কিছু দখল করেছে তারা। কেবল দখল নয়, আওয়ামী লীগ বারে বারে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। খোন্দকার মুশতাক, এরশাদ ও মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনদের তারাই ক্ষমতায় বসিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রায় সব উপদেষ্টাই দুর্নীতিবাজ বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, দুই-একজন ছাড়া সব উপদেষ্টাই দুর্নীতিবাজ। কোথায় কোনো প্রকল্প টাকা বানানো যাবে, সেই উপদেশই দেন ওই উপদেষ্টারা। ব্যাংকগুলোর অবস্থা দেখলে তা বুঝা যায়। ওইসব উপদেষ্টারাই কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের পরামর্শ দিয়েছেন।্ এখন তারা রাস্তা-ঘাটে টোল বসানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। সরকারকে বলব, দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টাদের উপদেশ শোনা বন্ধ করুন। তিনি বলেন, এই উপদেষ্টারা একদিন বলেছিলো, ট্রানজিটের ফি নিলে বেয়াদবি হবে। আজ জনগণের ওপর ফি ধার্য করা সরকারের কি আদবি হবে ? যেহেতু এই সরকার জনগণের ভোটে  নির্বাচিত হয়নি, সেজন্য দেশ ও জনগণের প্রতি তাদের  কোনো দায়িত্ব নেই।
তিস্তা পানি বন্টন, বিভিন্ন নদ-নদীর ওপর বাঁধ বসিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ ও সীমান্ত হত্যার বিষয়ে সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কঠোর সমালোচনাও করেন বেগম খালেদা জিয়া।
উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনও এই কমিশন সুষ্ঠুভাবে করতে পারেনি। সরকারি দলের লোকজন উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা তারা নিতে পারেনি। তাই তাদের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।
বিএফইউজে’র সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল হাই শিকদার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, বিএফইউজে’র আঞ্চলিক ইউনিয়নের মধ্যে চট্টগ্রামের শামসুল হক হায়দারী, খুলনার মো. আনিসুজ্জামান, বগুড়ার সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলার, রাজশাহীর সরদার আবদুর রহমান, কুমিল্লার শাহ আলম শফি, যশোরের মহিদুল ইসলাম মন্টু, কক্সবাজারের আতাহার ইকবাল, দিনাজপুরের জি এম হিরু, কুষ্টিয়ার নজরুল ইসলাম মুকুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মঞ্চে বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে ঢাকার জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, চট্টগ্রামের মো. শাহনওয়াজ, খুলনার হাসান আহমেদ মোল্লা, বগুড়ার মমিনুর রশীদ সাইন, রাজশাহীর সরদার এম আনিসুর রহমান, যশোরের মুরশিদুল আজিম হীরু, কক্সাবাজারের জি এম আশেক উল্লাহ, কুমিল্লার রমিজ খান, দিনাজপুরের মাহফুজুল ইসলাম রিপন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ উপবিষ্ট ছিলেন।
সাংবাদিক ইউনিয়নের এই অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক সদরুল আমিন, অধ্যাপক সুকোমল বড়–য়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা, সেলিমা রহমান, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, মহিলা দলের সভানেত্রী নুরী আরা সাফা, সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সাবেক এমপি হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আখতার প্রমুখ ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র সাংবাদিকদের মধ্যে আমান উল্লাহ কবির, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, খন্দকার মনিরুল আলম, এম এ আজিজ, ইস্কান্দর আলী চৌধুরী, গোলাম মহিউদ্দিন খান, এলাহী নেওয়াজ খান সাজু, মাহমুদ শফিক, আবদুস শহীদ, আবু সালেহ, বাকের হোসাইন, আমিরুল ইসলাম কাগজী, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন