ঘটনাটি শনিবার সকালে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাগাতিপাড়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ঘটেছে।
ওই স্কুলের দক্ষিণ প্রান্তে সারিবদ্ধ ১২টি মেহগনি গাছ রক্ষায় প্রতিটি গাছ ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে থাকে শিক্ষার্থীরা।
একই সময়ে স্কুলের সামনের রাস্তায় মানববন্ধনও করে তারা। তাদের ফেস্টুনে লেখা ছিল ‘আমরা গাছগুলো বাঁচিয়ে রাখতে চাই! ওদের মরতে দেবো না!’
গাছগুলো বিক্রি করতে এদিন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিলাম ডাকে।
কিরণ, মোতালিব ও আবির নামের কয়েকজন শিক্ষার্থীর জানায়, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সবার মতামত উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের ১২টি গাছ নিলামে বিক্রি করতে যাচ্ছে।
কিরণ বলে, “পড়ালেখার অবসরে আমরা এই গাছগুলোর ছায়ায় খেলাধূলা করি।”
গরমে গাছগুলোই ছাত্রদের আশ্রয় বলে জানায় সে।
সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, “এটা বেসরকারি বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নিয়ন্ত্রণে আমরা চাকরি করি। দয়া করে আমাদের মন্তব্য করতে বলবেন না।”
তবে তিনি জানান, গাছ বিক্রি করে বিদ্যলয়ের সামনে বিপণি বিতান নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
স্থানীয় এক কলেজের শিক্ষক আল মামুন বলেন, “আমরা ছাত্র থাকাকালে ১৯৮৮ সালে নিজেরা চাঁদা তুলে এই মেহগনি গাছগুলো লাগিয়েছিলাম।”
সকাল ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বিদ্যালয়ে এলে তাদের কাছে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় লোকজন তাদের দাবি তুলে ধরে।
দাবি মেনে নিয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ বলেন, “আমি আর গাছ বিক্রির কথা ভাবব না।”
একই কথা বলেন স্কুলের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য রুহুল আমিন সরকার।