আর্থ আওয়ার: পৃথিবীর জন্য ১ ঘণ্টা

0
171
Print Friendly, PDF & Email

দুনিয়া বিখ্যাত সব স্থাপনাসহ লাখো-কোটি মানুষের বাড়িঘরে আজ বাতি জ্বলবে না এক ঘণ্টা। এই একটা ঘণ্টা শুধু পৃথিবীর জন্য। জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রকৃতি রক্ষায় সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াসেই এই আলো নিভিয়ে রাখা। আজ শনিবার প্রায় দেড় শরও বেশি দেশের প্রায় সাত হাজার শহরে ‘ডব্লিউডব্লিউএফ’ বা ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফান্ড ফর নেচারে’র আহ্বানে এই ‘আর্থ আওয়ার’ পালিত হবে বিভিন্ন দেশের স্থানীয় সময় রাত ৮:৩০ থেকে ৯:৩০ মিনিট পর্যন্ত। ‘দ্য গার্ডিয়ান’ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
সিডনির অপেরা হাউস, প্যারিসের আইফেল টাওয়ার, মস্কোর রেড স্কয়ার ও ক্রেমলিন, নিউইয়র্কের আম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং, বার্লিনের ব্রানডেনবুর্গার গেট, ইস্তাম্বুলের বসফরাস সেতু কিংবা দুবাইয়ের বুর্জ আল খলিফার মতো স্থাপনাগুলোও তাদের মনোমুগ্ধকর আলোকসজ্জা নিভিয়ে রাখবে।
যুক্তরাজ্যে বাকিংহাম প্রাসাদ, হাউস অব পার্লামেন্ট, টাওয়ার ব্রিজসহ লন্ডন আই আলো কমিয়ে রাখবে এই কর্মসূচিকে সমর্থনের প্রকাশে। আর দেশটির প্রায় একে কোটি মানুষও আর্থ আওয়ার-এ অংশ নিতে নির্ধারিত এক ঘণ্টার জন্য নিভিয়ে রাখবেন বাড়িঘরের বাতি।   ‘আর্থ আওয়ারে’র সমর্থনে আলো কমিয়ে রাখা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ‘সিউল টাওয়ারে’র। ২০১২ সালে তোলা ছবি। ছবি: বিবিসি
এ বছর আর্থ আওয়ার পালন অষ্টম বছরে পা দিচ্ছে। এবার এমন সময়ে এই আর্থ আওয়ার পালিত হচ্ছে যার ঠিক দুই দিন পরই জাপানের টোকিওতে ‘আইপিসিসি’-এর (ইন্টার গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ) সম্মেলনে বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করতে যাচ্ছেন।
২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি অপেরা হাউসে এক ঘণ্টার জন্য বাতি নিভিয়ে শুরু করা এই আর্থ আওয়ার এখন দুনিয়ার বৃহত্তম পরিবেশ সচেতনতামূলক বার্ষিক আয়োজনে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেছেন এর উদ্যোক্তারা। গত বছর ১৫৪টি দেশের ৭ হাজার শহর-নগর এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল।
আর্থ আওয়ার প্রকল্পের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী অ্যান্ডি রাইডলি বলেছেন, ‘এক ঘণ্টার জন্য বাতি নিভিয়ে রাখার প্রতীকী বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আমাদের জন্য বড় কাজ বিষটিকে এই ঘণ্টার পর সারা বছর ধরে চালু রাখা।’
এই আন্দোলনকে সারা দুনিয়ায় আরও কার্যকরভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে সংগঠনটির এই মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এখন এমন এক সময়ে এসে উপনীত হয়েছি যখন হাতের মুঠোফোন, ট্যাবলেট বা ল্যাপটপ থেকেই তাত্ক্ষণিকভাবেই অনেক কিছু পালটে দেওয়ার মতো কাজ করে ফেলতে পারি। আমাদের লক্ষ্য সেই গন্তব্যে পৌঁছানো যেখানে বিষয়টি এই ইভেন্টের বাইরেও একটা সত্যিকার বৈশ্বিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে উঠবে। আর ইভেন্টটা হয়ে উঠবে ওই আন্দোলনের সারকথার অনুপ্রেরণা।’

শেয়ার করুন