তালাক দেওয়ায় সাবেক স্ত্রী ও শ্যালিকাকে পুড়িয়ে হত্যা!

0
981
Print Friendly, PDF & Email

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাকুড়তিয়া গ্রামে ঘরে ঢুকে দুই সহোদরা ও তাদের এক চাচাতো বোনের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে কুলসুম (১৮) ও তাঁর আপন ছোট বোন স্বর্ণা (৬) মারা গেছে। তাঁদের চাচাতো বোন সাথীর (১২) অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পরিবারের অভিযোগ, সম্প্রতি কুলসুম তাঁর স্বামী মান্দার মোল্লাকে (৪০) তালাক দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মান্দার মোল্লা এই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ঘটনার পর থেকে মান্দার মোল্লা পলাতক।
পুড়ে মারা যাওয়া কুলসুম ও স্বর্ণার বাবা আলতাফ মোল্লা জানান, ১১ মাস আগে মুকসুদপুর উপজেলার চন্ডিবর্দি গ্রামের আ. ছাত্তার মোল্লার ছেলে মান্দার মোল্লার সঙ্গে কুলসুমের বিয়ে দেন তিনি। ছেলে ঢাকায় ব্যবসা করেন বলে জানতেন তাঁরা। কিন্তু বিয়ের পর মান্দার মোল্লার রহস্যজনক চলাফেরা ও আচরণ পারিবারিক বিরোধের সৃষ্টি করে। এর জের ধরে সম্প্রতি মান্দারকে তালাক দেন কুলসুম।
আলতাফ মোল্লা বলেন, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক দুইটার দিকে কৌশলে ঘরে প্রবেশ করেন মান্দার মোল্লা। এ সময় একই বিছানায় কুলসুম, স্বর্ণা ও সাথী ঘুমিয়ে ছিল। মান্দার মোল্লা তাদের গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। অগ্নিদগ্ধ সবাইকে প্রথমে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে কুলসুম ও স্বর্ণার মৃত্যু হয়। সাথী গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
এ ঘটনায় কুলসুমের বাবা আলতাফ মোল্লা টুঙ্গিপাড়া থানায় মান্দার মোল্লাকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। মান্দারের গ্রামের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালালেও তাঁকে ধরতে পারেনি।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

শেয়ার করুন