‘গণতন্ত্র নস্যাৎ হতে দেবো না’

0
115
Print Friendly, PDF & Email

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, সংবিধান ও গণতন্ত্র নস্যাত্ হতে দেবো না। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বিশ্বসভায় বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করতে যে কোন ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত আছি। প্রয়োজনে বাবার (বঙ্গবন্ধু) মতো রক্ত দিয়ে হলেও বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করবো। এ সময় স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্রের বিষয়ে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।

আজ শনিবার দুপুরে চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মোহনপুরের নদীর তীরে স্বতস্ফূর্ত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী জাহাজের দোতলার সামনের ডেকে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন। এর আগে তিনি বিআইডব্লিউটিসির যাত্রীবাহী জাহাজ ‘এমভি বাঙালির’ উদ্বোধন শেষে জাহাজে করে চাঁদপুর জেলার মতলব থানার মোহনপুর নদী বন্দরে যান।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে আর গরীব মানুষ থাকবে না। আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। কেউ গৃহহীন থাকবে না। জাতির পিতা দুঃখী মানুষের মুখে হাঁসি ফোটাতে চেয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ করতে। সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫-এর পর যারা জাতির জনককে হত্যা, সংবিধান লঙ্গন করে যারা ক্ষমতা দখল করেছে, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার পুনর্বাসন করেছে বাংলার মাটিতে তাদের বিচার হবেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। কেউ তাদের রক্ষা করতে পারবে না।

সবাইকে সর্তক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র কেউ যাতে নসাত্ করতে না পারে সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, সর্তক থাকতে হবে। সরকার স্টিমার সার্ভিসকে আবারো পুনরুজ্জীবিত করার জন্য কাজ করছে জানিয়ে বলেন, আগে স্টিমার সার্ভিস ব্যাপকভাবে চালু ছিল। আস্তেআস্তে এটি নষ্ট হয়ে যায়। আমরা এর পুনরুজ্জীবনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছি।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শাহাজাহান খান, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

শেয়ার করুন