তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের ‘ব্যাপক সাফল্যে’ বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রথম দুই দফার নির্বাচনে ভরাডুবির পর ফলাফলের নতুন মাত্রায় আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম ধাপের নির্বাচনেও জয়ের এ ধারা অব্যাহত রাখতে চান সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। সে জন্য যা যা করার সবই করা হবে বলে দল ও সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির একাধিক নেতা জানান, প্রথম দুই দফার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের ব্যাপক ভরাডুবিতে চরম হতাশ হয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা; কিন্তু দলের তৃণমূলে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সামাল দিয়ে একক প্রার্থী নির্বাচন এবং কেন্দ্রের সক্রিয় দিকনির্দেশনায় নতুন করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মনোবল ফিরে এসেছে। তাই চতুর্থ ধাপের ৯১টি উপজেলার ঘোষিত ৮৯টির মধ্যে ৫৩টিই চলে আসে আওয়ামী লীগের দখলে। এতে বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন দলের তৃণমূলপর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এ ধারা অব্যাহত রেখে আগামী পঞ্চম ধাপের নির্বাচনেও সর্বোচ্চসংখ্যক প্রার্থীর জয়ের আশা নিয়ে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম তিন ধাপে অনুষ্ঠিত ২৯১টি উপজেলার মধ্যে আওয়ামী লীগ ১২১টি চেয়ারম্যান পদে জয় লাভ করেছে। অন্য দিকে বিএনপি ১২৪টি ও জামায়াতে ইসলামী ২৭টি পদ পেয়েছে। এর মধ্যে গত ১৯ ফেব্র“য়ারি অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের ৯৮টি উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পায় ৩৫টি, বিএনপি ৪৪টি ও জামায়াতে ইসলামী ১২টি পদ। গত ২৭ ফেব্র“য়ারি দ্বিতীয় ধাপের ১১৫টি উপজেলার নির্বাচনে মতাসীন আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৪৬টি, বিএনপি ৫২টি ও জামায়াতে ইসলামী আটটি পদ।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, প্রথম দুই দফার নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের ব্যাপক পরাজয় সরকারের নীতিনির্ধারকদের ভাবিয়ে তোলে। নির্বাচনী ফলাফল দেখে চরম হতাশ হয়ে পড়েন মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তাই দলীয় প্রার্থীদের বিপর্যয় কাটাতে শুধু নেতাকর্মী ও ভোটারদের ওপর নির্ভরশীলতা বাদ দিয়ে নতুন কৌশলে মাঠে নামেন নীতিনির্ধারকেরা। কৌশলের অংশ হিসেবেই বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, মামলা, গ্রেফতার, নির্যাতনসহ নানা ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। প্রশাসনকে সাজানো হয় নতুন করে। কেন্দ্র দখল করে সিল মারা হয়েছে অকাতরে। এভাবে তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে দলের সর্বোচ্চসংখ্যক প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য আলাপকালে বলেন, সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা ও ভোট ডাকাতির তকমা গায়ে লাগলেও এর মাধ্যমে ভেঙে পড়া নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করা গেছে। প্রথম দুই দফার নির্বাচনে পরাজয়ে নীরব হয়ে পড়া নেতাকর্মীরা নতুন উদ্যমে মাঠে নেমেছেন। এটাই আওয়ামী লীগের বড় অর্জন। তাই এ ধারা আগামী নির্বাচনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, সমালোচকেরা ক’দিন সরকারের সমালোচনা করতে করতে কান্ত হয়ে পড়বে। একপর্যায়ে সবাই এসব ভুলে যাবে।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র জানায়, দলটির তৃণমূলে জনপ্রিয়তা প্রমাণে উপজেলা নির্বাচনে জয়ের এ ধারা অব্যাহত রাখতে নানা সাংগঠনিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দলটি। চতুর্থ ধাপের চেয়ে পঞ্চম ধাপে আরো ভালো ফলের প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা দলের বিদ্রোহ ঠেকাতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। পঞ্চম দফার ৭৪টি উপজেলার মধ্যে কমপক্ষে ৫০টিতে দলীয় প্রার্থীর জয়ের টার্গেট নিয়ে মাঠে আছেন তারা। তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের ফলাফল মতাসীনদের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলে আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি নয়া দিগন্তকে বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঠেকাতে না পারায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে আমরা ভালো করতে পারিনি। তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তৃণমূলে জনপ্রিয় নেতাকে একক প্রার্থী দেয়া হয়েছে। প্রার্থী বাছাইয়ের েেত্র কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত সাত বিভাগের সাতটি টিম এবারো সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এ ছাড়া গত দুই দফার নির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থীদের ব্যাপক বিজয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। তাই আমরা এবারো বেশির ভাগ উপজেলায় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির একাধিক নেতা জানান, প্রথম দুই দফার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের ব্যাপক ভরাডুবিতে চরম হতাশ হয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা; কিন্তু দলের তৃণমূলে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সামাল দিয়ে একক প্রার্থী নির্বাচন এবং কেন্দ্রের সক্রিয় দিকনির্দেশনায় নতুন করে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মনোবল ফিরে এসেছে। তাই চতুর্থ ধাপের ৯১টি উপজেলার ঘোষিত ৮৯টির মধ্যে ৫৩টিই চলে আসে আওয়ামী লীগের দখলে। এতে বেশ আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছেন দলের তৃণমূলপর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এ ধারা অব্যাহত রেখে আগামী পঞ্চম ধাপের নির্বাচনেও সর্বোচ্চসংখ্যক প্রার্থীর জয়ের আশা নিয়ে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম তিন ধাপে অনুষ্ঠিত ২৯১টি উপজেলার মধ্যে আওয়ামী লীগ ১২১টি চেয়ারম্যান পদে জয় লাভ করেছে। অন্য দিকে বিএনপি ১২৪টি ও জামায়াতে ইসলামী ২৭টি পদ পেয়েছে। এর মধ্যে গত ১৯ ফেব্র“য়ারি অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের ৯৮টি উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পায় ৩৫টি, বিএনপি ৪৪টি ও জামায়াতে ইসলামী ১২টি পদ। গত ২৭ ফেব্র“য়ারি দ্বিতীয় ধাপের ১১৫টি উপজেলার নির্বাচনে মতাসীন আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৪৬টি, বিএনপি ৫২টি ও জামায়াতে ইসলামী আটটি পদ।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, প্রথম দুই দফার নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের ব্যাপক পরাজয় সরকারের নীতিনির্ধারকদের ভাবিয়ে তোলে। নির্বাচনী ফলাফল দেখে চরম হতাশ হয়ে পড়েন মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা। তাই দলীয় প্রার্থীদের বিপর্যয় কাটাতে শুধু নেতাকর্মী ও ভোটারদের ওপর নির্ভরশীলতা বাদ দিয়ে নতুন কৌশলে মাঠে নামেন নীতিনির্ধারকেরা। কৌশলের অংশ হিসেবেই বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, মামলা, গ্রেফতার, নির্যাতনসহ নানা ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। প্রশাসনকে সাজানো হয় নতুন করে। কেন্দ্র দখল করে সিল মারা হয়েছে অকাতরে। এভাবে তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে দলের সর্বোচ্চসংখ্যক প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের সম্পাদকমণ্ডলীর একজন সদস্য আলাপকালে বলেন, সারা দেশে ব্যাপক সহিংসতা ও ভোট ডাকাতির তকমা গায়ে লাগলেও এর মাধ্যমে ভেঙে পড়া নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করা গেছে। প্রথম দুই দফার নির্বাচনে পরাজয়ে নীরব হয়ে পড়া নেতাকর্মীরা নতুন উদ্যমে মাঠে নেমেছেন। এটাই আওয়ামী লীগের বড় অর্জন। তাই এ ধারা আগামী নির্বাচনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, সমালোচকেরা ক’দিন সরকারের সমালোচনা করতে করতে কান্ত হয়ে পড়বে। একপর্যায়ে সবাই এসব ভুলে যাবে।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র জানায়, দলটির তৃণমূলে জনপ্রিয়তা প্রমাণে উপজেলা নির্বাচনে জয়ের এ ধারা অব্যাহত রাখতে নানা সাংগঠনিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দলটি। চতুর্থ ধাপের চেয়ে পঞ্চম ধাপে আরো ভালো ফলের প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা দলের বিদ্রোহ ঠেকাতে প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। পঞ্চম দফার ৭৪টি উপজেলার মধ্যে কমপক্ষে ৫০টিতে দলীয় প্রার্থীর জয়ের টার্গেট নিয়ে মাঠে আছেন তারা। তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের ফলাফল মতাসীনদের কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলে আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি নয়া দিগন্তকে বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের ঠেকাতে না পারায় প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে আমরা ভালো করতে পারিনি। তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে তৃণমূলে জনপ্রিয় নেতাকে একক প্রার্থী দেয়া হয়েছে। প্রার্থী বাছাইয়ের েেত্র কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত সাত বিভাগের সাতটি টিম এবারো সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। এ ছাড়া গত দুই দফার নির্বাচনে দল সমর্থিত প্রার্থীদের ব্যাপক বিজয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। তাই আমরা এবারো বেশির ভাগ উপজেলায় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।