আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে গঠিত ১০ সদস্যের এই টাস্কফোর্স প্রথমে বিদেশে অবস্থানরত আসামিদের নামের তালিকা করবে।
এরপর আসামিদের অবস্থান চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার উপায় নির্ধারণ এবং ফেরত আনার কার্যক্রম তদারকি করবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই টাস্কফোর্স গঠনের আদেশ এবং তাদের কার্যপরিধি বৃহস্পতিবার জানানো হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যামামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১২ আসামির মধ্যে বিদেশে পলাতক ছয়জনকে ফেরত আনতে বিচ্ছিন্ন কূটনীতিক উদ্যোগ বিফল হওয়ার প্রেক্ষাপটে সংগঠিত এই উদ্যোগ নেয়া হল।
দণ্ডিত এম এ রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে, নূর চৌধুরী কানাডায় এবং খন্দকার আবদুর রশিদ লিবিয়ায় অবস্থান করছেন। শরিফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন ও আবদুল মাজেদ কোন দেশে রয়েছেন কিংবা বেঁচে আছেন কি না, সে বিষয়ে সরকারের কাছেও সুষ্পষ্ট কোনো তথ্য নেই।
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত আবুল কালাম আযাদ (বাচ্চু রাজাকার) বিদেশে পালিয়ে আছেন। বিদেশে থাকা অবস্থায় বিচারে দণ্ডিত হন আশরাফুজ্জামান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানায়, কোনো আসামি (বাংলাদেশি নাগরিক) ইতোমধ্যে বিদেশে নাগরিকত্ব নিলে তাকে ফিরিয়ে আনার উপায় নির্ধারণও করবে এই টাস্কফোর্স।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে থাইল্যান্ডে অবস্থানরত আরাফাত রহমান কোকো মুদ্রাপাচারের মামলায় দণ্ডিত। তার বড় ছেলে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও কয়েকটি মামলা রয়েছে।
গঠিত টাস্কফোর্সের অন্য সদস্যরা হলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল, স্বরাষ্ট্র সচিব, মহা-পুলিশ পরিদর্শক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, পররাষ্ট্র সচিব ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার মহাপরিচালক।
চাইলে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত নিজেরাই করতে পারবে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই টাস্কফোর্স।
টাস্কফোর্সের কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলে আদেশে উল্লেখ রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই টাস্কফোর্সকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।