আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ বলেছেন, তারেক জিয়া ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার করেছে। আর ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার সংবিধান লঙ্ঘনের শামিল। এজন্য অবশ্যই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে তার নিজস্ব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা কথা বলেন।
মঙ্গলবার লন্ডনে তারকে রহমান এক অনুষ্ঠানে বলেন, “জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন এবং তিনিই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি”
এর প্রতিক্রিয়ায় হানিফ বলেন, যত নষ্ট রাজনীতির হোতা তারেক রহমান। মিথ্যাচার করে ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা তার নষ্ট রাজনীতির ফসল। লন্ডনে বসে তার এই মিথ্যাচার গ্রহণযোগ্য নয়।
জিয়াউর রহমানের উত্তরসুরিরা মিথ্যাচার করছে অভিযোগ করে হানিফ আরো বলেন, জিয়াউর রহমান কোথাও স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। জিয়াউর রহমান নিজেও কখনো এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে যাননি। তার উত্তরসুরিরা মিথ্যাচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চ রাত ১২টার পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হামলার পর কিছু সময়ের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু ইপিআর ওয়্যারলেসে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এরপর চট্রগ্রাম কালুর ঘাট বেতার থেকে ঘোষণা দেন এম এ হান্নান। তার পর ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাশেম।
হানিফ বলেন, ২৭ মার্চ যদি মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, তা হলে তো ২৭ মার্চ স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালন করা উচিত। ২৬ মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, তারেকের বক্তব্যে আ’লীগ খুব বেশী বিচলিত না। কিন্তু যে সকল কথাবার্তা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে, সে সকল অসংলগ্ন কথাবার্তার অবশ্যিই জবাব দেয়া উচিত।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ কোনো বিছিন্ন ঘটনা নয়। এটি ধারাবাহিক আন্দোলনের ফসল। ৭০ এর নির্বাচনে জনগণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মেন্ডেট দিয়েছিল। সেজন্যই ৭ মার্চ তিনি স্বাধীনতার ডাক দেন।
হানিফ বলেন, সব বাধা অতিক্রম করে নির্বাচন হয়েছে, সরকার গঠিত হয়েছে। এ জন্য তারা হতাশ। তারেক রহমানের বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ পেয়েছে।