বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আগামী ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা, ভোট ডাকাতি এবং কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করা হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। সরকার যদি জনগণের ওপর গুম, খুন, অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ না করে তাহলে জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐতিহাসিক প্রতিশোধ নিতে বাধ্য হবে।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বুলি আউড়িয়ে এরা জনগণের কাছে বিভ্রান্তি ছড়ায়। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতি সন্ত্রাস, গুম, খুন ও আধিপত্য বিস্তার নির্ভর। তারা কখনোই স্বাধীন সার্বভৌম দেশ চায় না।
রিজভী বলেন, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বোমা মেরে ছাত্রদল নেতা সুজনকে হত্যা করে। এটাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নমুনা।
রিজভী অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রার পথে সবসময় কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও বিচার বিভাগ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সঠিকভাবে কাজ করতে দেয়নি।
তিনি বলেন, ৩১ মার্চের নির্বাচন নিজেদের পক্ষে নেয়ার জন্য যত ধরনের সিস্টেম দরকার তা অব্যাহত রেখেছে। ভোটার ও বিরোধী প্রার্থীর অ্যাজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কেন্দ্রে আসতে ভয় দেখাচ্ছে। পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে ভোট ডাকাতির সব ধরনের কাজ চূড়ান্ত করে ফেলেছে।