নারায়ণগঞ্জে বাস উল্টে পাঁচজন ও বাগেরহাটে বাসের ধাক্কায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন।
বুধবার সকাল ৯টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও ত্রিবর্দী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাস উল্টে গেলে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়। নিহতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- বাসের হেল্পার এবং মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার মনির হোসেনের ছেলে জনি (৩০), কুমিল্লার গৌরিপুরের পারুল (২৮) ও তার স্বামী ফজর আলী (৩৫), হাসান (২৮) এবং অজ্ঞাত এক যুবক (৩০)।
স্থানীয়রা জানান, বাসটি সায়েদাবাদ থেকে দাউদকান্দি যাচ্ছিল। পথে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি উল্টে যায়। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এদিকে বাগেরহাট-খুলনা সড়কের ফকিরহাট উপজেলার নখপুর এলাকায় মঙ্গলবার রাতে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী ছাত্রদল নেতা কাওসার আহমেদ (২৯) ও বিপ্লব (২৮) নিহত হয়েছেন।
নিহত কাওসার আহমেদ বাগেরহাটের মংলা পৌরসভার বান্দাঘাটা কবরস্থান সড়কের হাসেম শেখের ছেলে। তিনি মংলা কলেজ শাখার ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি। এবং বিপ্লব হোসেন (২৮) শেলাবুনিয়া এলাকার মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।
বাগেরহাট মহাসড়ক পুলিশের সার্জেন্ট নুরুজ্জামান কাজল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতে বাগেরহাট থেকে ছেড়ে যাওয়া একটি যাত্রীবাহী বাস নখপুর এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলের চালক কাওসার ঘটনাস্থলেই নিহত ও অপর আরোহী বিপ্লব গুরুতর আহত হন।
পরে আহত বিপ্লবকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।