ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সফররত চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতা জ্যঁ ল্যামবার্ট সোমবার সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে ইউরোপী পার্লামেন্ট আগের অবস্থানেই রয়েছে।
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জনের মধ্যে দিয়ে ওই নির্বাচনে অর্ধেকেরও বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন প্রার্থীরা। বাকি আসনগুলোতেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রাধান্য থাকে।
ওই নির্বাচন ‘বিশ্বাসযোগ্য’ হয়নি বলে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব আনা হয়।
প্রস্তাবে বাংলাদেশের জনগণকে প্রতিনিধিত্বশীল পন্থায় নিজেদের মত প্রকাশের সুযোগ করে দিতে রাজনৈতিক দলগুলোকে সমঝোতার আহ্বান জানানো হয়।
ল্যামবার্ট বলেন, “বাংলাদেশে এমন একটা রাজনৈতিক পরিস্থিতি দরকার, যেখানে জনগণের কথা শোনা হবে।”
সংলাপ প্রসঙ্গে ইউরোপীয় ফ্রি অ্যালায়েন্সের এই নেতা বলেন, “সব বৈধ দল যদি অংশগ্রহণে ইচ্ছুক হয়, তাহলে আগাম নির্বাচনের বিষয়টি আলোচনার টেবিলে আনা উচিৎ।
“তবে আমাদের মতামত হচ্ছে, সর্বশেষ নির্বাচনের মতো হলে আগাম নির্বাচনের প্রয়োজন নেই।”
গ্রুপ অব দ্য প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স অফ সোশ্যালিস্ট অ্যান্ড ডেমোক্র্যাটস নেতা জন অ্যাটার্ড-মনটালটো, ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টির সালভাদর সেদোই অ্যালাবার্ট এবং অ্যালায়েন্স অফ ডেমোক্র্যাটস লিবারেলসের নিকোলো রিনালদি এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।