দু’হাত ও পায়ের রগ দেয়ার আটদিন পর মারা গেলেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শরীফ মোল্যা (৬০)। রোববার রাত ৮টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার লাশ আজ সোমবার গ্রামের বাড়ি কালিয়া উপজেলার কৃঞ্চপুর গ্রামে আনা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় গতকাল রাত ১০টার দিকে কালিয়া উপজেলার কৃঞ্চপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের ১০টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট হয়।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুশিলের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেমায়েত হোসেন জানান, কৃঞ্চপুর গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিশু অপহরণ ঘটনার প্রতিবাদ করায় গত ১৫ মার্চ বেলা ১১টার দিকে নড়াইল সদরের মির্জাপুর নামক স্থানে আওয়ামী লীগের সভাপতি শরীফ মোল্যার দু’হাত হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয় সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
জানা যায়, চাঁচুড়ি ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামের আবু বাদ্যকারের মেয়ে রুনা খানম (১৩) স্কুলে যাওয়ার পথে একই গ্রামের পলাশ (১৮), সাইফুল (১৯) ও কাসেম (১৮) উত্যক্ত করতো।
এক পর্যায়ে গত ১৩ মার্চ সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে রুনাকে ওই তিন যুবক অপহরণ করে। পর দিন আবু বাদ্যকারের স্ত্রী রেবেকা বেগম কালিয়া থানায় মামলা দায়ের করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অপহরণকারী ও তাদের লোকজন ১৫ মার্চ সকালে আবু বাদ্যকারের বাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনায় আবু বাদ্যকার ও তার স্ত্রী রেবেকা বেগম আহত হন। আহতদের নসিমনে করে যশোর নোয়াপাড়ায় নেয়ার পথে নড়াইল সদরের মির্জাপুরে পৌঁছালে ওৎ পেতে থাকা কৃষ্ণপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান (৩০), বিপুল (৪৫), পিকলু (২৮), নিপু (৪৫), ইয়াসিন (২০) ও তারা মিয়াসহ (৪০) কয়েকজন নসিমন ঠেকিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীফ মোল্যার দুই হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুভাষ বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কৃঞ্চপুর গ্রামের একটি মেয়েকে অপহরণ ঘটনার প্রতিবাদ করায় সন্ত্রাসীরা শরীফ মোল্যার হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে।