যশোর সদর উপজেলার বিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের রুম। ঘড়ির কাঁটা সকাল সাড়ে ৮টার ঘর সবে অতিক্রম করেছে। প্রিজাইডিং অফিসার জিয়াউর রহমান ব্যস্ত-সন্ত্রস্তভাবে মুড়ি বইগুলো ফাইল কেবিনেটে ভরছেন। সাংবাদিকদের দেখে দ্রুত রুম ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন কয়েক যুবক। ভোট প্রদানের ‘অতি জরুরি’ কাজটি সকাল সকালই ‘সেরে’ ফেললেন তারা!
প্রিজাইডিং অফিসার জিয়াউর রহমান জানালেন, তার কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৬শ’ এবং ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা প্রার্থীর ২শ’ করে ৪শ’ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। চেয়ারম্যান প্রার্থীর ১, ৩, ৭, ৯, ১১ ও ১৫ নম্বর বই শেষ হয়েছে। প্রতিটি বইয়ে একশ করে ব্যালট পেপার ছিল। মাত্র ৩০ মিনিটে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলিয়ে এক হাজার ভোটগ্রহণ শেষ! অর্থাত্ প্রতি ১ দশমিক ৮ সেকেন্ডে একটি করে ভোট পড়েছে। এটা কিভাবে সম্ভব জানতে চাইলে চোখেমুখে অসহায়ত্বের তীব্র ছাপ নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসার বললেন, ‘কিছুটা অনিয়ম হয়েছে। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।’
রিটার্নিং অফিসার যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এএনএম মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘এরকম কথা কেউ আমাকে বলেনি। আমি আপনার কাছেই প্রথম জানলাম।’