বাংলাদেশের প্রধান দুটি দলের দুই প্রধান নেত্রী গত ২০ বছরে বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সাময়িকী ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সাময়িকীটিতে ‘আর ব্যাটেলিং বেগমস কিপিং বাংলাদেশ ব্যাক?’ শিরোনামে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে রাজনীতির চালিকাশক্তি প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কিন্তু বাংলাদেশের এই দুই নেত্রীর মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিদ্বেষের পর্যায়ে চলে গেছে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া এবং তাঁর ছেলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন ও মামলা পরিচালনা সেই বিদ্বেষে আবার আগুন ঢেলেছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া নারী নেত্রী হিসেবে নিজেদের অনুসরণীয় করে উপস্থাপনের পরিবর্তে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, রাজনৈতিক সংকটের কারণে ২০১৩ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা থমকে গেছে।
প্রতিবেদনটিতে দুই নেত্রীর সমালোচনা করে বলা হয়, দক্ষিণ এশীয় রাজনীতিতে পারিবারিক সূত্র ধরে নারীর আগমন বিরল নয়। এ ক্ষেত্রে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী ও তাঁর পুত্রবধূ সোনিয়া গান্ধী এবং পাকিস্তানের বেনজির ভুট্টোর উদাহরণ টানা হয়। বাংলাদেশে বাবা শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা ও স্বামী জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর খালেদা জিয়া রাজনীতিতে এসেছেন। এ দুজনই নিহত হয়েছিলেন সেনা অভ্যুত্থানে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ওই দুজনের ব্যাপক জনপ্রিয়তাই পরবর্তী সময়ে দুই নারী নেত্রীর রাজনীতিতে অবস্থান সুসংহত করেছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। রাজনীতিতে প্রবেশের পর থেকেই দুই নারী নেত্রী পরস্পরকে টপকে ক্ষমতায় বসার যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের পরবর্তী নেতৃত্ব হিসেবে আছেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান।