উপজেলা নির্বাচনে সহিংসতাকারীদের হুঁশিয়ার করে ভারপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক বলেছেন, ‘সামনে উপজেলা নির্বাচনে কেউ যেন কালো হাত না বাড়ায়। নির্বাচনে সহিংসতা বা আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে এবং অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কালো বাড়ালে তা ভেঙে দেয়া হবে।’
শনিবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
স্থানীয় নির্বাচন হলেও উপজেলা নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর কারণেই সহিংসতা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে আব্দুল মোবারক বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পৃক্ত হওয়ার কথা না থাকলেও তারা প্রকাশ্যে এ নির্বাচনে ভূমিকা রাখছে। তাদের মধ্যে একধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাজ করছে। আর একারণেই সহিংসতা বাড়ছে। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী কেউ কেউ জয় ছিনিয়ে নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে।’
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত সিইসি বলেন, ‘কারো অধিকার যেন ছিনিয়ে নেয়া না হয়। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া যাতে অব্যাহত রাখা যায় সে পথে যান। আশা করি, রাজনৈতিক দলগুলোর শুভবৃদ্ধির উদয় হবে।’
আগামীকাল রোববারের নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে কথা বলেছে বলে জানান তিনি।
গত নির্বাচনগুলোতে সহিংসতা বাড়লেও সেনাবাহিনীর দৃশ্যমান ভূমিকা ছিল না। এবার সিআরপির ১৩১ ধারা অনুযায়ী নাগালের কাছে কোনো সহিংসতা হলে সেনাবাহিনী যেন ব্যবস্থা নেয় সে ব্যাপারে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত সিইসি।
নির্বাচনে অনিয়ম করলে ফৌজদারি আইনে মামলা হবে এবং ভোটের পরও মামলা চলবে বলে সতর্ক করে দেন তিনি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার রকিবউদ্দিন আহমদ আর দেশ ফিরবেন না এমন গুঞ্জন প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘তিনি (রকিবউদ্দিন) ভালো আছেন। যথাসময়ে দেশে ফিরবেন।’
তার মানে সিইসি ছাড়াই নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নির্বাচন কমিশন এটা প্রমাণ করতে চাইছেন কি না- এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এর উত্তর তো আপনারাও জানেন। হযরত মুহম্মদের (স.) অবর্তমানেও ইসলাম প্রচার থেকে থাকেনি।’
উল্লেখ্য, আগামীকাল রোববার দেশের ৪৩ জেলার ৯১টি উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।