মিথ্যা মামলা এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক শামীমুন নাহার। তিনি মানবাধিকার সংগঠন হোপস ডোরের প্রধান। তিনি সাবেক সচিব একেএম রশিদ উদ্দিনের মেয়ে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ২০১০ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে তিনি বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। মিথ্যা মামলা এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে এটি তার চতুর্থ সংবাদ সম্মেলন।
নিজ এলাকার (ঢাকা ১১) সংসদ সদস্য একেএম রহমত উল্লাহ ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলামসহ নয়জন মন্ত্রীর কাছে গিয়েও তিনি প্রতিকার পাননি।
শামীমুন নাহারের অভিযোগ, তার পরিবারে কলহ তৈরি, ইন্টারনেটে ও কথিত ম্যাগাজিনে মানহানিকর ছবি প্রকাশ এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে হয়রানি করছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তার কোটি কোটি টাকার পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাত করতে প্রতিমন্ত্রী এসব করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “আমাকে ধ্বংস এবং আমাদের সম্পত্তি আত্মসাৎ করে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চান নসরুল হামিদ বিপু। এজন্য তিনি কৌশলে সম্পত্তির দলিল আটকে রেখেছেন। আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে।”
পরিবারে কলহ সৃষ্টি করে শামীমুন নাহারের স্বামী ড. মাহবুব হোসেন, বড় ভাই আরিফুর রশিদ ও ছোট বোন ডেইজি হাসান আইরিনকে নিয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব করছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। মাহবুবের সাথে নাহারের বিবাহ বিচ্ছেদের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানানো হয়।
শামীমুন নাহার বলেন, “ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) বিকাশ কুমার সাহাকে হাতে নিয়ে ইয়াবা উদ্ধারের অভিযোগ দিয়ে মিথ্যা মামলায় আমাকে ৪২ দিন কারাগারে আটকে রাখা হয়। পাগল সাজিয়ে আমাকে কারাগার থেকে পাবনার পাগলা গারদে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেও আমেরিকান দূতাবাসের হস্তক্ষেপে সেটা করতে পারেনি।” ইন্টারনেটে অপপ্রচার বন্ধ, পৈত্রিক সম্পত্তির ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দেয়া, এবং অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে শামীমুন নাহারের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে শামিমুন নাহারকে খিলগাঁওয়ে তার পিতার বাড়িতে বসবাসের সুযোগ করে দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী এবং বিচারপতি কাজী রেজাউল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি অবকাশকালীন বেঞ্চ ওই আদেশ দেয়। একই বছরের ২ জুলাই একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে শামীমুন নাহারের রিট আবেদনের পর এ আদেশ দেন আদালত।