বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতির ময়দান থেকে বিদায় দেয়ার জন্য জন্গণকে যুদ্ধে শামিল হবার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
বৃহস্পতিবার নগরীর ডিসি হিলে স্বাধীনতা উৎসব ও বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইনু বলেন, ৫ তারিখের নির্বাচনে গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষা হয়েছে। কিন্তু সামরিকতান্ত্রিক, সাম্প্রদায়িক, জঙ্গীবাদী শক্তিকে পরাজিত করা সম্ভব হয়নি। তারা সাময়িকভাবে পিছু হটেছে কিন্তু আত্মসমর্পণ করেনি। তারা ঘাপটি মেরে আছে।
ইনু উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের বিশ্রামের সময় নেই, বসে থাকার সময় নেই। আবারও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া যাতে রাজনীতির ময়দান থেকে চিরতরে বিদায় নেন, তার জন্য যুদ্ধ করতে হবে। বেগম জিয়াকে রাজনীতির ময়দান থেকে বিদায় দেয়ার যুদ্ধ শুরু করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, সাপের শেষ রাখতে নেই, বেঈমানের ক্ষমা নেই। আমরা অতীতে ভুল করেছিলাম। সেজন্য ৪২ বছর ধরে ভুগছি। এবার সময় এসেছে, বেঈমানকে কোন ক্ষমা করা যাবেনা।
রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে সংলাপের প্রসঙ্গ টেনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জঙ্গীবাদী আর জঙ্গীবাদ তোষণকারীদের সঙ্গে কোন সংলাপ হবেনা। সংলাপ হবে সেদিন, যেদিন জঙ্গীবাদকে তারা ছুঁড়ে ফেলবে।
তিনি বলেন, পরাজিত শক্তি স্বাধীনতাকে বুলেটবিদ্ধ করতে চায়। তারা যখন বাসে পেট্রল বোমা মারে, তখন মনে হয় তারা স্বাধীনতার গায়ে তারা বোমা মারছে। ওরা যখন মানুষের পেট্রল ঢেলে পুড়িয়ে মারে তখন মনে হয় স্বাধীনতাকে পুড়িয়ে মারছে। ওরা যখন রেললাইনের ফিশপ্লেট তুলে ট্রেন খাদে ফেলে দেয় তখন মনে হয় তারা স্বাধীনতাকে পঙ্গু করে দিতে চাচ্ছে।
ইনু বলেন, যারা স্বাধীনতা গুলি, বেয়নেটবিদ্ধ করতে চায় তাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। জঙ্গীবাদী, সাম্প্রদায়িক আর সামরিকতন্ত্রের রাজনীতির নোংরা আবর্জনা ঝেড়ে ফেলতে হবে।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে দৃঢ় প্রত্যয় উল্লেখ করে ইনু বলেন, যতই রাজনীতির রং মাখানো হোক না কেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হতেই থাকবে, সাজা হতেই থাকবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রেলগাড়ি সঠিক পথে এগিয়ে যাবেই।
স্বাধীনতা উৎসব-বইমেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অধ্যাপক নাসিমুল কামালের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভাপতি ও সাংসদ মঈনউদ্দিন খান বাদল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, চসিকের কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট রেহেনা কবির রানু, জাসদ নেতা ইন্দুনন্দন দত্ত, চবি শিক্ষক জীনবোধি ভিক্ষু প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। উৎসব আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া একই মঞ্চ থেকে ২৬ মার্চ সকাল ১১টায় সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের কর্মসূচীও ঘোষণা করা হয়েছে।