গণতন্ত্রের স্বার্থে নির্বাচন পদ্ধতির একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
বৃহষ্পতিবার দুপুরে দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ কার্যালয় পরিদর্শকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই সব দলকে নিয়ে পুন:নির্বাচনের কথা বলছেন। কিন্তু যারা এই দাবি করছেন তারা নির্বাচন পদ্ধতির সেই পুরোনো রূপরেখা থেকে সরে আসেনি।’
তিনি বলেন, ‘নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে চারটা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, কিন্তু স্থিতিশীলতা আসেনি। সংসদকে শক্তিশালী করার জন্য এ ব্যবস্থা বাতিল করা অনিবার্য ছিল। খালেদা জিয়াসহ যারা এ দাবি করছেন তাদেরকেই একটি স্থায়ী সমাধান বের করতে হবে। সমাধান বের না করে পুরোনো নিয়মে নির্বাচনের দাবি করলে বোঝা যাবে তারা দেশকে অস্থিতিশীল রাখতে চায়।’
সংবাদ মাধ্যমগুলোকে উদ্দেশ্য করে ইনু বলেন, ‘নিরপেক্ষতার নামে কিছু গণমাধ্যম গোঁজামিলের আশ্রয় নিচ্ছে। প্রগতিশীলতা আর মৌলবাদের মিশ্রণে তারা এক ধরণের জগাখিচুড়ি পরিবেশন করছে। সংবাদ মাধ্যমগুলোর উচিত এ অবস্থান থেকে সরে এসে বস্তু ও সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করা।’
পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে চট্টগ্রাম ৮ আসনের সংসদ সদস্য ও জাসদের কার্যকরি সভাপতি মঈনউদ্দিন খান বাদল, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশের উপদেষ্টা সম্পাদক আবুল মোমেন, সম্পাদক রুশো মাহমুদ, নির্বাহী সম্পাদক রফিকুল বাহার, সহযোগী সম্পাদক সুভাষ দে, নগর সম্পাদক এম নাসিরুল হক, সহকারি ব্যবস্থাপনা সম্পাদক বালাগাত উল্লাহ, সহকারি সম্পাদক কামরুল হাসান বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতায় আবুল মোমেন বলেন, ‘সাংস্কৃতিক বিপ্লব ছাড়া সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। জঙ্গীবাদকে বিতাড়নের মধ্য দিয় এ ধরণের বিপ্লবের জন্য সকলকে প্রস্তুত করতে হবে।’
আবুল মোমেন বলেন, ‘স্থিতিশীলতার জন্য স্থিতিশীল সরকার প্রয়োজন। মালেশিয়া-সিঙ্গাপুরে উন্নয়ন হয়েছে স্থিতিশীল সরকারেরর কারণে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোর ক্ষেত্রেও নেহেরুদের উদাহরণ টানা যায়।’
সুপ্রভাত বাংলাদেশ’র সাংবাদিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপচারিতা শেষে মন্ত্রী সেখানে এক প্রীতিভোজে অংশ নেন।
এর আগে সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউটে চট্টগ্রাম ভিত্তিক একটি নিউজ পোর্টালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
‘রোদেলা বিকেল’র বৈচিত্রময় খাবারে মুগ্ধ ইনু
দৈনিক সুপ্রভাত কার্যালয়ে মন্ত্রীর সৌজন্যে আয়োজিত প্রীতিভোজে খাবার সরবরাহ করা হয় নগরীর খ্যাতনামা রেঁস্তোরা রোদেলা বিকেল থেকে। এসময় রেঁস্তোরাটির বৈচিত্র্যময় খাবারে মুগ্ধ হন মন্ত্রী। খাবার গ্রহণের সময় মুঠোফোনে অপর প্রান্তের মানুষটিকেও হাসিমুখে তাই জানাতে দেখা গেছে সেই কথা।
খাবার গ্রহণকালে রসিকতা করে সংসদ সদস্য মঈনুদ্দিন খান বাদল বলেন, ‘মন্ত্রী সাহেব তবু কন্ট্রোল করতে পারেন, আমাদের লোভ সংবরণ করা দায়।’
এসময়, ‘মাত্রারিক্ত ভালো খাবার’ বলেও মন্তব্য করেন এই সংসদ সদস্য।